শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুন্নী আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে
সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার ঃ ‘আমার কলেজ ছাত্রী মেয়ে মুন্নী আত্মহত্যা করেনি। সে তার শ্বশুরের অনৈতিক কাজে সাড়া না দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।’ মেয়ে মুন্নী খাতুনের মা ও বাবা দু’জনেই এই অভিযোগ করে বলেন, তার লাশ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্ত করার নির্দেশ দেয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে। এদিকে এই মামলার খবর শুনে প্রতিপক্ষ এখন নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে আরও লাশ হতে হবে বলে শাসিয়েছে টেলিফোনে।
গতকাল বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়ের মৃত্যুর করুণ কাহিনী এভাবেই তুলে ধরেন মা নাসিমা বেগম, বাবা সিদ্দিকুল ইসলাম ও ফুফু দেলোয়ারা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, আমাদের মেয়ে মুন্নী খাতুনকে তার শ্বশুর ফরিদউদ্দিন প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতো। একথা সে আমাদের জামাতা শিমুল গাজি ও আমাদের কাছে জানিয়েছে কয়েকবার। গত ২৮ জুলাই দিনের বেলায় বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে শ্বশুর আমাদের মেয়ের ওপর চড়াও হয়। এতে সে ঘোর আপত্তি জানায়। এ সময় তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে তার শ্বশুর।
তারা জানান, খবর পেয়ে শ্যামনগর উপজেলার উত্তর কদমতলার ওই বাড়িতে গেলে মুন্নীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। লাশের পা মেঝেতে পাতানো ছিল। ঘরের আড়ায় ওড়না দিয়ে ঝুলানো হলেও তার মাথার চুলের গোছা ছিল স্বাভাবিক। মনে হতেই পারে সে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দেখে সবাই বলেছেন এ কেমন আত্মহত্যা। কেউ বিশ্বাস করেনি এটা আত্মহত্যা হতে পারে। নাসিমা খাতুন ও সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে হারিয়ে আমাদের মাথা ঠিক ছিল না। পুলিশ বাবা সিদ্দিকুল ইসলামের একটি কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলে। পরে ময়না তদন্ত না করেই মুন্নীর লাশ নিয়ে দাফন করা হয় তার বাপের বাড়ি কদমতলায়।
তারা জানান, মুন্নীর এ মৃত্যুকে তার সহপাঠী মুন্সিগঞ্জ কলেজ শিক্ষার্থীরা মেনে নেয়নি। তারা এলাকায় মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে তারা। তার লাশ তুলে ময়না তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে সহপাঠীরা। মুন্নীর মা জানান, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২ আগস্ট একটি মামলা করেছেন বাবা সিদ্দিকুল। এতে মুন্নীর লাশ তুলে ময়না তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন