শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

ঈদের পরও চাঙা শেয়ারবাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০২০, ৭:৫৯ পিএম

ঈদুল আজহার পরের কার্যদিবসেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। ঈদের আগেও এক সপ্তাহ টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে ভুগতে থাকা শেয়ারবাজারে বেশকিছু দিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ঈদের আগের শেষ সপ্তাহে এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সব থেকে বেশি দেখা গেছে, যা ঈদের পরও দেখা যাচ্ছে। শেয়ারবাজারে এমন টানা উত্থান হওয়ায় বিনিয়োগকারীরাও খুশি।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে শেয়ারবাজারে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার (৩ আগস্ট) ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ২৬৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মধ্যে টানা ছয় কার্যদিবসের উত্থানে সূচকটি ১৭৬ পয়েন্ট বাড়ল।

প্রধান সূচকের পাশাপাশি বড় উত্থান হয়েছে অপর দুই সূচকের। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৯৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৪টির। ৯৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর মাধ্যমে তিন মাসেরও বেশি সময় পর যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে তার থেকে দ্বিগুণের বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ল।


শেয়ারবাজারের ভয়াবহ ধসের প্রেক্ষিতে গত ১৯ মার্চ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দাম) নির্ধারণ করে নতুন সার্কিট ব্রেকার চালু করা হয়। এতে দরপতন ঠেকানো গেলেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে লেনদেনে অংশগ্রহণ করা সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম অপরিবর্তিত থাকে।

এতে দেখা দেয় লেনদেন খরা। ডিএসইর লেনদেন ৫০ কোটি টাকার ঘরে নেমে আসে। অবশ্য কয়েক দিন ধরে লেনদেন বাড়তে থাকায় ঈদের আগের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার ঘরে স্পর্শ করে। ঈদের পরের প্রথম কার্যদিবসেও লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার ঘরে রয়েছে।

দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৪৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৮০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৩১ কোটি ২১ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে এর পরের স্থানে রয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জহোলসিম এবং গ্রামীণফোন।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৬৫ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৪৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ২৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৫টির।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন