বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

৮ আগস্ট থেকে লবণযুক্ত চামড়া কিনবে ট্যানারি মালিকরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২০, ১:০৮ পিএম

ফাইল ছবি


কোরবানির পশুর লবণযুক্ত চামড়া আগামী ৮ আগস্ট (শনিবার) থেকে কেনা শুরু করবেন ট্যানারি মালিকরা। সরকার নির্ধারিত দামে আড়তদার ও ডিলারদের কাছ থেকে এ চামড়া সংগ্রহ করা হবে। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ।

তিনি বলেন, আগামী শনিবার থেকে ট্যানারির মালিকরা লবণযুক্ত চামড়া সংগ্রহ শুরু করবে। সরকার নির্ধারিত দামেই আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লবণযুক্ত চামড়া কেনা হবে। চামড়ার মান অনুযায়ী দাম দেয়া হবে।

এবারও চামড়ার দামে নৈরাজ্য কেন হলো জানতে চাইলে সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, আড়ৎদারদের সঙ্গে আমরা সারা বছর ব্যবসা করি। তারা জানে কোন চামড়ার কত দাম। কোরবানির ঈদের আগে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় শুধুমাত্র মৌসুমী ব্যবসায়ীদের জন্য। কিন্তু তারা বিষয়টি বুঝতে চান না। কত দাম দিয়ে কিনবে তাও জানে না। কখন আড়তে আনবে তাও অনেকে জানেন না। এ কারণে বাজারে অসংগতি সৃষ্টি হয়। অনেকে চামড়া সংগ্রহ করে পরের দিন আড়তে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন। ওই চামড়া তো নষ্ট হয়ে গেছে। ওটা কিনবে কে? এভাবে প্রতিবছরই মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতার অভাবে হাজার হাজার পশুর চামড়া নষ্ট হচ্ছে। এতে করে তারা একদিকে নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অন্যদিকে দেশের সম্পদ নষ্ট করছে।

তিনি জানান, করোনা মহামারি, বন্যাসহ নানা কারণে এবার পশু জবাই ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম হয়েছে। তাই ৭০ থেকে ৭৫ লাখ গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষের চামড়া সংগ্রহ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। আগামী এক দেড় মাসে আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এসব লবণযুক্ত চামড়া কেনা হবে।

প্রতিবছর কোরবানির ঈদের সময় নিজস্ব উদ্যোগ ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আড়তদার ও ডিলাররা কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে তা সংরক্ষণ করেণ। পরে ট্যানারিগুলো তাদের সুবিধা অনুযায়ী আড়তদারদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে।

এদিকে এবার কোরবানির পশুর চমড়ার দাম ২০ থেকে ২৯ শতাংশ কমিয়ে নির্ধারণ করে দেয় সরকার। ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, গত বছর যা ছিল ৪৫-৫০ টাকা। এক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় দাম কমানো হয় ২৯ শতাংশ। ঢাকার বাইরে ২৮-৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, গত বছর যা ছিল ৩৫-৪০ টাকা। এক্ষেত্রে গতবছরের চেয়ে দাম কমানো হয় প্রায় ২০ শতাংশ।

এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া ১৩-১৫ টাকা, গত বছর যা ছিল ১৮-২০ টাকা। এক্ষেত্রে গত বছরের চেয়ে দাম কমানো হয় ২৭ শতাংশ। পাশাপশি বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ১০ থেকে ১২ টাকা, গত বছর যা ছিল ১৩-১৫ টাকা। এক্ষেত্রেও দাম কমানো হয় ২৩ শতাংশ।

কিন্তু এরপরও নির্ধারিত দামে কেনা-বেচা হয়নি কোরবানির পশুর চামড়া। ন্যায্য মূল্য না পাওয়া ও সঠিক সময়ে চামড়া সংরক্ষণে ব্যর্থ হওয়ায় এবারও কোরবানিতে কমপক্ষে ২০ ভাগ কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়নি, যা নষ্ট হয়ে গেছে। বিক্রি হওয়া চামড়ার দামও ছিল কম। প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকায়। আর ছাগলের চামড়ার দাম ছিল মাত্র ১০ টাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন