করোন সংকটের প্রায় চার মাস পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। গত চার মাস ধরেই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারের পর্যটন জোনের হোটেল মোটেল ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল নীরব নিস্তব্ধ।
ঈদুল আজহার পর সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার ব্যাপারে জেলা প্রশাসন একমত হলেও ঈদের চতুর্থ দিনেও তার অনুমতি মেলেনি।
তবে আগামীকাল ৫ আগষ্ট (বুধবার) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাথে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও হোটেল-মোটেল পর্যটন ব্যবসায়ীদের সাথে সমন্বিত এক বৈঠকের মাধ্যমে কবে থেকে হোটেল ও বিনোদনকেন্দ্র গুলো খুলে দেয়া হবে তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা জানা যাবে।
এদিকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন স্পষ্ট অনুমতি না দিলেও লকডাউন শিথিল থাকায় ভ্রমণ পিয়াসী হাজার হাজার পর্যটক ইতোমধ্যে কক্সবাজার ভ্রমণে আসতে শুরু করেছেন। ঈদের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সীইন পয়েন্ট ও ডলফিন মোড় ঘুরে দেখা গেছে সব শ্রেণী পেশার নারী পুরুষ সৈকতে বিচরণ করতে।
দেখা গেছে, দীর্ঘদিন পরে তারা কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণ করতে পেরে মহাখুশি। কেউ কেউ সাগরের পানিতে নেমে শরীর শীতল করতে, আর কেউ কেউ দৌড়াদৌড়ি ও মুক্ত বাতাসে দীর্ঘদিনের ক্লান্তি কাটিয়ে নিতে দেখা গেছে।
টুরিস্ট পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, সৈকতে বিচরণকারী অধিকাংশ পর্যটক দেখা গেছে মাক্স ব্যবহার করতে। তবে ব্যাপক গেদারিং হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয় নিয়ে তারা কিছুটা সংকিত।
গত ৩০ জুলাই থেকে কক্সবাজার বিমান বন্দরে চালু হওয়ায় এবং পরিবহন সংস্থার বাস গুলো সরাসরি ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারে পর্যটক বহন করায় কিছু কিছু পর্যটক আসতে শুরু করেছেন কক্সবাজারে। তবে সৈকতে বিচরণকারী পর্যটকদের অধিকাংশই স্থানীয় পর্যটক বলে জানা গেছে ।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার বলেন, প্রশাসন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হোটেল-মোটেল বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার অনুমতি দেননি তবে আগামীকাল ৫ আগস্ট জেলা প্রশাসন হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন এর সাথে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই না খুলে দেয়ার পরে কয়েকদিনের জন্য পর্যটকদের ঢল নামুক। সংকট সৃষ্টি হলে তা আবার বন্ধ হয়ে যাক। তাই এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে হোটেল-মোটেল ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো খোলার ব্যবস্থা করা হোক।
কয়েকজন হোটেল মালিক জানান, ঈদের পরে সৈকতে হাজার হাজার পর্যটক এসেছেন তবে হোটেলে উঠেছেন সীমিত সংখ্যক পর্যটক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন