শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নিয়মিত আদালত চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামীকাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত আদালত চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার। এ লক্ষ্যে আগামীকাল বিকেল ৩টায় পূর্ণাঙ্গ সভা ডাকা হয়েছে। আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ভার্চুয়ালি এ সভায় অংশ নেবেন। সোমবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। রেজিস্ট্রার জেনারেল মো.আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে আগামি ৬ আগস্ট বিকেল ৩টায় ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে রয়েছে।
এর আগে গত ৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতি বরাবর একটি পত্র পাঠানো হয়।এতে বলা হয়,স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করে অনতিবিলম্বে নিয়মিত আদালত চালুর পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটি অতিমত প্রকাশ করে। গত ২৭ জুলাই ফের পত্র দেয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। ওই পত্রে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরি কমিটির ৮ জুলাইয়ের প্রস্তাবনার আলোকে অনতিবিলম্বে নিয়মিত আদালত চালুর বিষয়ে পুনরায় সুচিন্তিত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর দাবি জানানো হয়। করোনা পরিস্থিতিতে গত ২৬ মার্চের পর দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ মে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মে মাসের পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ৫ আগস্ট, ২০২০, ৮:৪৯ এএম says : 0
নিয়মিত আদালত খোলার সময় এখনও আসেনি এটাই সঠিক। আদালত পাড়ায় লোকসমাগম এতই বেশী হয় যে, আদালত পাড়ায় কোরানার নিয়ম কানুর বা আইন প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। এখন আমরা পত্রপত্রিকায় দেশের অবস্থা যেভাবে দেখছি তাতে অরাজগতার পরিমাণ খুবই নগণ্য। সেদিক থেকে সমাজ অনেক ভালই আছে কাজেই অযথা নিয়মিত আদালত খুলে দিয়ে বিপদ ডেকে আনা ঠিক হবে না। তবে, বিচারের সংখ্যা কমানোর জন্যে হাকিম তাঁর নিকট যেসব মামলা রয়েছে সবই নজরে এনে এক এক করে প্রতিদিন ৫/৭টা মামলা নিজ দায়িত্বে পরিচালনা করে সেই সব মামলার নিষ্পত্তি করাতে পারেন। এতে প্রচুর লোকসমাগম হবার সম্ভবনা নেই ফলে করোনা সংক্রামিত হবার ভয়ও থাকেনা। সাথে সাথে একটি মামলা ধরে সেটাকেই বিস্তারিত ভাবে দুপক্ষের উপস্থিতে চুলচেরা বিশ্লেষন করে মামলার সমাপ্তি টানার সুযোগ থাকে। আমি দেখেছি প্রতিটি আদালতে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ মামলার তারিখ থাকে আবার মামলা উঠেই তারিখ দিয়ে দেয় এভাবেই চলে। সেজন্যে এখন আইন করা দরকার একজন হাকিম কত ঘণ্টা আদালতে বসবেন সেই মত মামলার সংখ্যা নির্ধারণ করা। সেটা এখন ২টা মামলা হলেও ভাল কারন এই মামলা যত সময় লাগুক নিয়ে এর ব্যাবস্থা নিয়ে নেয়া সম্ভব। তাই সরকারের উচিৎ হবে আদালত পাড়াকে আরো কিছুদিন নীরব রাখা। করোনার ভেকসিন আবিষ্কার হবার পরই আদালত পাড়া খুলে দেয়া যায় নয়ত নয়। এখন উকিল বাবুদের পকেট খালি হয়েগেছে কাজেই ওনারা চাইবেন আমাদেরকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে ওনাদের পকেট মোটা করতে আর সরকারের উচিৎ হবে জনগণকে ভাল রাখা তাই নিয়মিত আদলত খোলার কোন প্রয়োজন নেই। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে উকিলদের হাত থেকে রক্ষা করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন