বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ইতালির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমলো

বাংলাদেশসহ ৪ দেশের নাগরিকের জাপান প্রবেশে কড়াকড়ি

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশসহ ১৮টি দেশ থেকে ইতালি প্রবেশের যে নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে তা ৩১ আগস্টের পরিবর্তে কমিয়ে ১০ আগস্টে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সে দেশের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (এনাক) ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশসহ ১৮টি দেশ থেকে ইতালির উদ্দেশে ফ্লাই করতে যে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত নোটিশ দিয়েছিলগত রোববার সেটি আবার নতুন করে ইস্যু করা হয়। এদিকে, বাংলাদেশসহ চার দেশের ওপর জাপান প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
গত ৭ জুলাই ছুটিতে আসা বাংলাদেশি প্রবাসীদের ইতালি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে ৫ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ২৮২ জন বাংলাদেশি যাত্রী নিয়ে রোম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাৎক্ষণিক ১২ জনের শরীরে কোভিড ১৯ ধরা পড়ে। এরপর ৮ জুলাই কাতার এয়ার ওয়েজের দুটি বিমানে করে রোম ফোমিচিনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১১২ জন ও মিলান মালফেনজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪০ জনসহ মোট ১৫২ প্রবাসী বাংলাদেশিকে কোভিট ১৯ এর নিরাপওার জন্য পুশব্যাক করে ইতালি। বাংলাদেশ থেকে ইতালি ভ্রমণে প্রথমে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ৭ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। পরে তা বাড়িয়ে ৩১ জুলাই করা হয়। তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ থেকে ইতালি ভ্রমণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করলেও রোববার তা কমিয়ে ১০ আগস্ট চূড়ান্ত করে ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিভিল এভিয়েশন অথরিটি।
অন্যদিকে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আগামী শুক্রবার থেকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও পেরু থেকে সব বিদেশি নাগরিকের জাপান প্রবেশে কঠোর পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। এর আগে গত শুক্রবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে যে, এই চারটি দেশ থেকে জাপানের স্থায়ী বসতিকারী, দীর্ঘ মেয়াদে ভিসাধারী, তাদের স্বামী বা স্ত্রী অথবা সন্তানের যদি স্থায়ী আবাসন অনুমোদন থাকে অথবা এমন মর্যাদা সম্পন্ন জাপানি নাগরিক হন, শুধু তারা জাপানে ফিরতে সক্ষম হবেন। তবে জাপান ফেরার পূর্বে তাদের করোনা নেগেটিভ এমন প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। এ বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছিল আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে জাপানি নন এমন অধিবাসীদের ক্ষেত্রে। কিন্তু সরকার বলেছে, এই বিধিনেষেধ আগেভাগেই এই চারটি দেশের ক্ষেত্রে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কারণ, এসব দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। এর আগে এসব দেশ থেকে যাওয়া মানুষকে বিমান বন্দরে স্ক্রিনিং করে করোনা পজেটিভ পাওয়া গিয়েছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন