মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে আলোচনার টেবিলে বসাতে না পারার ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, সামনে নির্বাচন না থাকলে এতদিনে তিনি ঠিকই ইরানকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতে পারতেন। ট্রাম্প বুধবার মার্কিন নিউজ চ্যানেল ফক্স নিউজের ‘ফক্স এন্ড ফ্রেন্ডস’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে না থাকলে এখন চীন, উত্তর কোরিয়া ও ইরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে থাকত। তিনি এমন সময় এ দাবি করলেন যখন ইরান বহুবার আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে আমেরিকার সঙ্গে যেকোনো ধরনের আলোচনার সম্ভাবনা কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেন। অপরদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইরান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ব্রায়ান হুক বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়ন করতে তার দেশ জোর ক‚টনৈতিক তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বুধবার অ্যাস্পেন নিরাপত্তা বৈঠকে দেয়া এক বক্তৃতায় একথা জানান। হুক আবারো ইরানবিরোধী ভিত্তিহীন অভিযোগগুলোর পুনরাবৃত্তি করেন। মার্কিন সরকার ইরানের মোকাবিলায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্যও নিজেকে প্রস্তুত করেছে জানিয়ে হুক বলেন, তেহরানকে অর্থনৈতিক চাপ ও আলোচনার মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে। হুক এমন সময় এ বক্তব্য দিলেন যখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী চলতি সপ্তাহে দেয়া এক ভাষণে আবারো আমেরিকার সঙ্গে যেকোনো ধরনের আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। ২০১৫ সালে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা অনুযায়ী আগামী ১৮ অক্টোবর ইরানের ওপর জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যাহার হয়ে যাবে বলে কথা রয়েছে।কিন্তু মার্কিন সরকার ওই নিষেধাজ্ঞা নবায়নের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। পার্সটুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন