শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পদক্ষেপ অবৈধ : চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

এই প্রথম কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরোধিতা করে সরাসরি বিবৃতি দিল চীন। তারা বলেছে, ‘অবৈধভাবে দখল করে রাখা জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) অবস্থার পরিবর্তনে ভারতের যে কোনও একতরফা পদক্ষেপ সম্পূর্ণ অবৈধ এবং কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ বুধবার অবৈধভাবে দখল করে রাখা জম্বু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন বাতিল করে ভারতের কেন্দ্রীয় শাসন জারির বর্ষপূর্তিতে চীনের অবস্থান ব্যক্ত করে এই প্রতিক্রিয়া জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।

গত বছরের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ভারতের মোদি সরকার। গত বছর অক্টোবর থেকে জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেব পরিচালিত হচ্ছে। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই ওয়াং ওয়েনবিন জানান, ‘কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে চীনের অবস্থান ধারাবাহিক এবং পরিস্কার। ভারত এবং পাকিস্তানের ইতিহাস থেকেই এই সমস্যার উৎপত্তি। জাতিসংঘের সনদ, নিরাপত্তা পরিষদের নেয়া সিদ্ধান্ত এবং ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতেও সেকথা স্বীকার করা হয়েছে।’

চীনের দাবি, ‘ঐতিহাসিক এই সমস্যার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাশ্মীরের স্থিতাবস্থায় কোনওরকম বদল বেআইনি এবং অবৈধ।’ দু’ পক্ষের (ভারত ও পাকিস্তান) মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে বলেও পরামর্শ দেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। ওয়াং ওয়েনবিন মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভারত এবং পাকিস্তান প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ফলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান মাধ্যমেই দু’ দেশের স্বার্থরক্ষা সম্ভব। একই সঙ্গে ভারত এবং পাকিস্তানকে আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের পরামর্শ দিয়েছে বেইজিং। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাশাপাশি অধিকৃত ভ‚খÐে মোতায়েন ভারতীয় সেনাদের হাতে নিরীহ কাশ্মীরিরা ব্যাপক অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। এটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষার জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মন্তব্য করে ওয়েনবিন বলেন, ‘কাশ্মীর অঞ্চলের পরিস্থিতির দিকে চীন নিবিড়ভাবে নজর রাখছে।’

প্রসঙ্গত, চীন কাশ্মীর ইস্যুতে সবসময়ই ভারতের বিরোধিতা করে আসছে। চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ডক্টর আরিফ আলভির চীন সফরের পরে জারি করা যৌথ বিবৃতিতে কাশ্মীর ইস্যুটিও উত্থাপিত হয়েছিল এবং চীন জোর দিয়ে বলেছিল যে, ‘কাশ্মীর ইস্যুটি ইতিহাস, জাতিসংঘ সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রস্তাবসমূহ এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে যথাযথ ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা উচিত।’ চীন পরিস্থিতি জটিল করে তোলে এমন কোনও একতরফা পদক্ষেপেরও বিরোধিতা করেছিল। জুলাইয়ে, পাকিস্তান ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যৌথভাবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সম্মত হন। চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি ও কাশ্মীর ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। সূত্র : পাকিস্তান ট্রিবিউন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন