শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উপসর্গে মৃত ১৩

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনা উপসর্গ সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সারা দেশে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে আরো ১২১ জনের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরো দুই জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়েন আরো ১২৩ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। সাতটি ল্যাবে মোট ৯৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১২১ জনের নমুনায়।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ঈদের ছুটিতে করোনা টেস্ট কম হয়েছে। ছুটি শেষে টেস্টের হার বাড়ছে তবে শনাক্তের হার কমে আসছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় এ হার ছিল ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৭৪৬ জন। মারা গেছেন ২৩৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ১২৫ জন।
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোরে একজন সাংবাদিক ও একজন ডাক্তারসহ বৃহস্পতিবার নতুন ৭৯জনের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে যশোর জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২হাজার ছাড়ালো। এই তথ্য জানান সিভিল সার্জন।
যবিপ্রবি স‚ত্র জানায়, যবিপ্রবির ল্যাবে বৃহস্পতিবার করোনা টেস্টের ফলাফলে যশোরের ১৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৯ জনের পজেটিভ হয়েছে। এছাড়া মাগুরার ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জনের, নড়াইলের ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ যবিপ্রবির ল্যাবে মোট ২৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩১ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৩৯ জনের নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে একদিনের ব্যবধানে পুনরায় নমুনা পরিক্ষা হ্রাসের সাথে কোভিড-১৯ রোগী শনাাক্তের সংখ্যা কমলেও বরগুনা ও পিরোজপুরে আরো দু জেনর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলশন ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো ৩ জনের মৃত্যু হলেও তাদের দু জনের নমুনা পরিক্ষায় নেগেটিভ ফল মিলেছে। অপরজনের ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪সহ সরকারি হিসেবে মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১০৩। আর এসময়ে ২জনসহ মোট ১২৩ জনের মৃত্যু হল। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৯ জনসহ দক্ষিণাঞ্চলে সর্বমোট ৪ হাজার ২৪ জনের সুস্থ হয়ে ওঠার কথা বলা হয়েছে।
গতকাল সকালের প‚র্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২১২ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৪১ জনের এবং ভোলা হাসপাতালে ২৬ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৩ জন ‘কোভিড-১৯’ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঈদের ছুটির রেশ কাটিয়ে এর আাগের দিন শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৬৫ জনের এবং ভোলার ল্যাবে ৪০ জনের পরিক্ষায় ৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প‚র্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আগের দিনের ২৭-এর স্থলে ১২ জন। তবে এদিনও আক্রান্তদের বেশীরভাগই ছিল মহানগরীতে। এ জেলাটিতে গতকাল পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু ও ২,৫৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে সরকারি হিসেবে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫১ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ১,৭১৮। পটুয়াখালীতেও আক্রান্তর সংখ্যা আগের দিনের ৬ থেকে ৫-এ হ্রাস পেয়েছে। তবে জেলাটিতে মৃত্যু হার ৩%-এর বেশি। জেলায় এ পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যুসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৬১ জন। নতুন ২৬ জন সহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৭১৪ জন।
বরগুনাতে আগের দিনের ১৫ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১০ জন আক্রান্তের কথা বলা হলেও আরো ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছোট এ জেলায় করোনা সংক্রমন এখনো উদ্বেগজনক। জেলাটিতে ৬৮৮ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। নতুন ১৪ জন সহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৪৯ জন।
পিরোজপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো একজনের মৃত্যুর ফলে মোট সংখ্যাটা ১৩ জনে উন্নীত হল। এসময়ে নতুন কোন আক্রান্তের তথ্য ছিলনা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। নতুন ৪ জন সহ মোট ৪১৪ জনের সুস্থ হয়েও ওঠার কথা বলেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলাটিতে এ পর্যন্ত সাড়ে ৭শআক্রান্তের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হল। ঝালকাঠীতেও নতুন করে ৪ জন করোনা সংক্রমনের শিকার হয়েছেন। যা আগের দিন ছিল ৬। এপর্যন্ত জেলাটিতে ৫০৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন ১২ জন সহ সুস্থ হয়েছেন ৩০৪ জন। অপরদিকে ভোলাতেও আগের দিনের ৯ জনের স্থলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ জন। জেলাটিতে ৫৫৭ জন কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬জন। আর অনুমিত হিসেবে বৃহস্পতিবার নতুন ১২ জন সহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৪২৭ জন।
এদিকে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার সকালের প‚র্ববর্তি ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪ রোগী ভর্তি করা হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন দুুজন। বর্তমানে এ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ২৯ জন। অপরদিকে হাসপাতালটির আইসালেশন ওয়ার্ডে এসময়ে নতুন ৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ জন। তবে এ সময়ে ওয়ার্ডটিতে চিকিৎসাধীন ৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে। চিকিৎসাধীন আছেন ৩৭ জন। হাসপতালটির করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এ পর্যন্ত ভর্তিকৃত ১,২৬১ জনের মধ্যে ১৭৮ জনের মৃত্যু হল। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১,০২১ জন।
এছাড়া হাসপাতালটির আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন ৮ জনের মধ্যে ৩ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৩ জনের দেহে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুর আরো ১৫জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮৯০জন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৭৫জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ১২জন, মতলব দক্ষিণে ২জন ও ফরিদগঞ্জে ১জন। চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় স‚ত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ৭১টি রিপোর্ট আসে । এর মধ্যে ১৫টি পজেটিভ। বাকিগুলো নেগেটিভ। জেলায় ১৮৯০জন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হচ্ছে; চাঁদপুর সদরে ৭৪৭জন, মতলব দক্ষিণে ২০৩জন, শাহরাস্তিতে ১৯০জন, হাজীগঞ্জে ১৮১জন, ফরিদগঞ্জে ২১৬জন, হাইমচরে ১২৮জন, কচুয়ায় ৭৮জন এবং মতলব উত্তরে ১৪৭ জন। চাঁদপুর জেলায় করোনায় মৃত ৭৫জনের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২১ জন, হাজীগঞ্জে ১৭জন, ফরিদগঞ্জে ১০জন, কচুয়ায় ৬ জন, মতলব উত্তরে ১০জন, শাহরাস্তিতে ৭জন, মতলব দক্ষিণে ৩জন এবং হাইমচরে ১জন।

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, কুষ্টিয়ায় নতুন করে আরো ৯২জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রাতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব(১৭৪টি) ও ঢাকার ল্যাবে পাঠানো(১৮২টি) মোট ৩৫৬টি স্যাম্পলের নমুুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে কুষ্টিয়ায় নতুন করে আরো(কুষ্টিয়া ল্যাবে ৬৪ জন ও ঢাকা ল্যাবে ২৮জন) ৯২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার ৪৫ জন,মিরপুর উপজেলায় ৫ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৮ জন, খোকসা উপজেলায় ১৬ জন, ভেড়ামারা উপজেলায় ১ জন ও কুমারখালী উপজেলায় ১৬ জন। জেলায় এ নিয়ে ১ হাজার ৮৪২ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হলেন আর মারা গেছেন ৩৫ জন। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘরের বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। অতি-প্রয়োজনীয় না হলে বাহিরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সামাজিক দুরত্ব মেনে চলুন। অনুগ্রহ করে সতর্ক থাকুন, সাবধানে থাকুন।
পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার রাত পৌনে এগারোটার দিকে করোনা সাসপেকটেড ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিবুর রহমান (৮০) নামে একজন মারা গেছেন।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স‚ত্রে জানা গেছে, গলাচিপার পাতাবুনিয়া এলাকার হাবিবুর রহমান গতকাল বুধবার দুপুর ২টার পরে নিউমোনিয়া ,শ্বাসকষ্ট, সহ করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি হন। রাত পৌনে এগারোটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। একই সময় সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৪০৭ জন।
গতকাল সকাল পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬৩৯ জনে। এ বিভাগে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৮৭ জন এবং সুস্থ্য হয়েছেন ৮ হাজার ১৫০ জন। দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক জানান,
ডা: জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রাজশাহীর ৮১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৬ জন, নওগাঁয় ১ জন, জয়পুরহাট ২ জন, বগুড়ায় ৫১ জন ও সিরাজগঞ্জে ১৮ জন। তিনি জানান, রাজশাহী বিভাগে আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৫ হাজার ৪৯ জন। এছাড়াও রাজশাহী জেলায় ৩ হাজার ৪১৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫১৬ জন, নওগাঁয় ৯৬০ জন, নাটোরে ৫৪৪ জন, জয়পুরহাটে ৭৮২ জন, সিরাজগঞ্জে ১ হাজার ৫১৯ জন ও পাবনায় ৮৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় মৃতের সংখ্যা ১৮৭ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে ২৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮ জন, নওগাঁয় ১৪ জন, নাটোরে ১ জন, জয়পুরহাটে ৪ জন, বগুড়ায় ১১২ জন, সিরাজগঞ্জে ১১ জন ও পাবনায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
এ পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৮ হাজার ১৫০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে রাজশাহীর ১ হাজার ৬৭৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৩৮ জন, নওগাঁয় ৮২২ জন, নাটোরে ২৫২ জন, জয়পুরহাট ২০৯ জন, বগুড়ায় ৩ হাজার ৭৭২ জন, সিরাজগঞ্জ ৫৬৬ জন ও পাবনায় ৬১৭ জন।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। নতুন করে আরও ৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,০৪৯ জন । গতকাল বগুড়া সিভিল সার্জনের পক্ষে নিয়মিত ব্রিফিং এ ডা. ফারজানুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়ে বলেন, বগুড়া সদরের করোনা প্রবণ এলাকা হিসেবে ঠনঠনিয়াকে ৪র্থ পর্যায়ে এবং সেউজগাড়ি এলাকাকে নতুন করে লগডাউন গোশনা করা হয়েছে ।
এদিকে বুধবার রাতে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেলে চিকিৎসাধীন এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে । পেশায় শিক্ষক ওই ব্রক্তির নাম মোঃ সুবেদ আলী ( ৪২) । তারা বাড়ি বগুড়ার মিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল গ্রামে ।
ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা জানান, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক পানিসম্পদ ও খাদ্যমন্ত্রী ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছে। বুধবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার সিভিল সার্জন মাহফুজুর রহমান সরকার।
প্রবীণ এই সংসদ সদস্য নিজ ফেসবুক পেইজেও এ খবর জানিয়ে লেখেন, করোনা টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দ্রæত সুস্থ্যতার জন্য দোয়াপ্রার্থী । ঈশ্বর সহায় হবে।এই সংসদ সদস্য ছাড়াও জেলায় নতুন করে আরও আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৩৭। মারা গেছে আটজন। সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা রমেশ চন্দ্র সেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলের অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা।
সাতক্ষীরা : জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত ওই গৃহবধ‚র নাম সবিতা সরকার (৪৮)। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রামের চাঁদসী ডাক্তার রামপদ সরকারের স্ত্রী। সাতক্ষীরায় নতুন ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিন পুলিশ ও দু'জন স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন।

মাগুরা : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার মাশালিয়া গ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে তপন দাস (৬০) নামে এক পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাত ১১ টার দিকে ফরিদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তপন দাস উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের মাশালিয়া গ্রামের মৃত অজিত দাসের পুত্র।

কুমিল্লা : করোনা উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের কভিড-১৯ ইউনিটে এক দিনে ৩ নারীসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টা সময়ে হাসপাতালটিতে এসব প্রাণহানি ঘটে। মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে তিনজনের বাড়িই কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। মৃত বাকি চারজনের মধ্যে দুজনের বাড়ি জেলার দেবীদ্বার উপজেলায়, একজনের বাড়ি মুরাদনগর এবং একজনের বাড়ি সদর উপজেলায়।
কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান গতকাল সকালে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজন আইসিইউতে এবং তিনজন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় কুমেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সাতজন হলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রফিকুল ইসলাম (৬০), একই উপজেলার আবদুল খালেক (৮৫), আইনুন নাহার (৬০), দেবীদ্বার উপজেলার লালু মিয়া (৭০), শাহিনা আক্তার (৫১), মুরাদনগর উপজেলার মারুফা আক্তার (৩৮) এবং কুমিল্লা সদরের শাকপুর এলাকার আবদুল হালিম (৬৪)।

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কমেছে করোনা সংক্রমণের মাত্রা। জুনের প্রথম ১৫ দিনে এ উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক ছাড়ালেও গত ৪ দিনে সংক্রমিত হয়নি একজনও। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন