শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইরানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়া, চীনের সংঘাত বাড়ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২০, ৬:৫১ পিএম

অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে ইরানের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে, রাশিয়া ও চীন এই প্রচেষ্টার বিরোধিতা করছে। আগামী সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টির নিয়ে সিদ্ধান্ত হবার কথা রয়েছে।

করোনা সংকটের মধ্যেও সাম্প্রতিক কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে ইরানের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর সময় এসে যাওয়ায় সেই উত্তেজনা আরও বাড়ছে। আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও আগামী সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়েছেন। জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইরানকে ‘বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসের মদতকারী দেশ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে চীন বা রাশিয়া বাধা দিলে সেই দেশগুলোও সন্ত্রাসবাদের ‘কো স্পনসর’ বা সহযোগী হয়ে যাবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে অ্যামেরিকা।

জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্রাফট রাশিয়া ও চীনের কাছে এই সিদ্ধান্তের বৃহত্তর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। ক্রাফট বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির গুরুত্ব বিবেচনা করে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত প্রস্তাবে এই দুই দেশ বাধা দেবে না বলে আমেরিকা আশা করছে। তবে ইরান ছাড়াও অন্য অনেক ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনের সহযোগিতার ফলে এই দুই দেশের সীমানার বাইরে অরাজকতা, সংঘাত ও সংঘর্ষে মদত দিয়ে যাবে। তাই তাদের কোণঠাসা করতে হবে।’

এর প্রতিবাদ জানিয়েছে রাশিয়া ও চীন। দেশ দুইটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও নিরাপত্তা পরিষদের উদ্দেশ্যে চিঠি লিখে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছেন। ইরান সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করতে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় নয়টি ভোট পেতে সম্ভব হলে চীন ও রাশিয়া নিজস্ব ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার অভিযানের অভিযোগ এনেছেন। অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে ইরানের উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাপানোর প্রচেষ্টার জন্য তিনি সব দেশের উদ্দেশ্যে আমেরিকার প্রতি নিন্দার আহ্বান জানিয়েছেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আগামী ১৮ অক্টোবর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করেছেন।

পম্পেও জানিয়ে দিয়েছেন যে, সেই প্রস্তাব অনুমোদন করা সম্ভব না হলে যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়ার আশ্রয় নেবে, যার ফলে ইরানের উপর জাতিসংঘের যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা আবার কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ে এই শর্ত রাখা হয়েছিল। এর আওতায় ইরান নিজস্ব পরমাণু কর্মসূচির উপর নিয়ন্ত্রণের শর্ত লঙ্ঘন করলে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে ছাড় প্রত্যাহার করা হবে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন একতরফাভাবে এই চুক্তি বর্জন করলেও রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি এখনো সেই চুক্তি চালু রাখতে বদ্ধপরিকর। সূত্র: এপি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Sheikh Md. Shahiduzzaman ৮ আগস্ট, ২০২০, ৮:২৩ এএম says : 0
এটা একটা পক্ষপাতমূলক লেখা। দেখুন তিনি লিখেছেন, "করোনা সংকটের মধ্যেও সাম্প্রতিক কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে ইরানের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর সময় এসে যাওয়ায় সেই উত্তেজনা আরও বাড়ছে। আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।" স্পষ্টমন্তব্যঃঃ (১) ধরে নিলাম প্রথম বাক্য ঠিক আছে। (২) দ্বিতীয় ও তৃতীয় বা বলেছেন তা মনে হচ্ছে সার্বজনী, স্বতঃস্ফূর্ত ও নিরপেক্ষ। (ক) এটা কার কথা? (খ) কে বলেছে যে, অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে ইরানের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর সময় এসে গিয়েছে? (গ) কেন আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে? এ সব বাদ দিয়ে নিরপেক্ষভাবে লিখুন। ধন্যবাদ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন