বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আবাসন ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে খুন

নিজের নির্মাণাধীন ভবন থেকে লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম


রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আবুল খায়ের (৫২) নামের এক আবাসন ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি সজীব বিল্ডার্স নামের একটি ডেভেলপার কোম্পানির মালিক। গতকাল সকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এম বøকে ওই কোম্পানির অধীনে নির্মাণাধীন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কে বা কারা কেন তাকে হত্যা করেছে; তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে কেনা একটি জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন স্বজনরা।

নিহত আবুল খায়ের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরের পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জালাল গার্ডেনের ২১ নম্বর রোডের ৬৯২ নম্বর বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের এক সময় ঠিকাদারিতে যুক্ত ছিলেন। বছর দশেক আগে নিজেই আবাসন ব্যবসা শুরু করেন। কোম্পানির নাম ‘সজীব বিল্ডার্স’ রাখেন নিজের ছেলের নামে। তার একমাত্র মেয়ে খাদিজা আক্তার স্বর্ণা মেডেকেল কলেজের শিক্ষার্থী।

নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী রুপালী আক্তার জানান, তিনি সাধারণত রাত ৮টার মধ্যেই বাসায় ফিরতেন। তবে বৃহস্পতিবার বিকালে তড়িঘড়ি করে বাসা থেকে বের হওয়ার পর তিনি আর ফিরে আসেননি। রাত ৮টার পর কল দিয়ে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রাতভর রুপালী সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে খোঁজ নেন। কিন্তু তার স্বামীর সন্ধান মেলেনি। রাতে ভাটারা থানা পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়। শেষে গতকাল ভোরে স্বজনরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন জায়গা খুঁজতে গিয়ে এন বøকে নির্মাণাধীন একটি ভবনের দোতলায় তার হাত-পা বাঁধা লাশ দেখতে পান। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

নিহতের ছোট ভাই আব্দুল বারী বাবলু জনান, কিছুদিন আবুল খায়ের একটি জমি কিনেছিলেন। ওই জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। হয়ত ওই বিরোধের জেরে তাকে খুন করা হয়েছে। তিনি তার ভাইকে হত্যায় জড়িতদের দ্রæত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেন।

গতকাল বিকেলে ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। কে বা কারা তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িত অপরাধীদের খুঁঁজে বের করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।

গুলশান বিভাগের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, নির্মাণাধীন যে ভবনে আবুল খায়েরের লাশ পাওয়া গেছে, তিনিসহ মোট ৯ জন সেটার মালিক। তিনতলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাইয়ের পর গত ফেব্রæয়ারি থেকে ভবনের কাজ বন্ধ ছিল। তিনি আরো জানান, আবুল খায়েরের মাথার পেছনে কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মাথার মগজ বের হয়ে গেছে। পুলিশ এ হত্যাকাÐের তদন্ত শুরু করছে। ভবনের মালিকতের মধ্যে তিনজনকে ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
দুলাল ৮ আগস্ট, ২০২০, ৪:১২ এএম says : 0
দেশের যে কি শুরু হলো কিছুই বুঝতেছিনা
Total Reply(0)
সালাউদ্দিন ৮ আগস্ট, ২০২০, ৪:১৩ এএম says : 0
দ্রুত অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তারের রক্ষা করা হোক
Total Reply(0)
বিধান ৮ আগস্ট, ২০২০, ৪:১৩ এএম says : 0
দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এই হত্যা মামলার আসামি গুলোকে শাস্তি দেওয়া যেতে পারে
Total Reply(0)
robiul islam ৮ আগস্ট, ২০২০, ১১:৪৮ এএম says : 0
বিচার চাই।
Total Reply(0)
আমিন ৮ আগস্ট, ২০২০, ১১:৪৯ এএম says : 0
এদেশে হত্যার বিচার না হওয়ায় হত্যাকারীরা বেপরোয়া।
Total Reply(0)
কামাল ৮ আগস্ট, ২০২০, ১১:৪৯ এএম says : 0
আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন