বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মরা পদ্মায় বান ডেকেছে, পাড়ে ভীড় বাড়ছে বিনোদন পিপাসুদের

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২০, ১১:২২ এএম

মরা পদ্মায় বান ডেকেছে। ক্ষনিকের জন্য যৌবনবতী হয়ে তীব্র গতিতে ছুটে চলছে ভাটির দিকে। পানিতে থৈ থৈ করছে। বছরের নয়মাস বালিচরের নীচে চাপা পড়ে থাকলেও বছরের এসময় ওপার থেকে ফারক্কার গেট গলিয়ে আসা পানিতে ক্ষনিকের জন্য জেগে ওঠে। এবারো তার ব্যাতিক্রম হয়নি। তবে এবারের সময়টা ভিন্ন। করোনা আতংক চারিদিকে। এই ভয়ের কারনে ক’মাস ধরে পদ্মার তীরে ছিল প্রান্তরের নীরবতা। নদী তীরের বিভিন্ন স্থাপনা আর ফাষ্টফুডের দোকানগুলোয় ছিল তালা। 

এখানকার মূল আড্ডাবাজদের বড় অংশ ফিরেছে নিজগ্রামে। কারন শিক্ষা নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া। বিভিন্ন স্থান হতে প্রায় লাখ দেড়েক শিক্ষার্থী আসে পদ্মা তীরের নগরী রাজশাহীতে। ওরা চলে যাওয়ায় নগরী বেশ ফাঁকা। ফাঁকা বিনোদন কেন্দ্র। কষ্টে আছে ভ্রাম্যমান ফুচকা, চটপটি, বাদাম, আমড়া, পেয়ারা বিক্রেতারা। ফলে তারাও রয়েছে কষ্টে।
এমন কষ্টের মধ্যেও নিয়ম মত জেগে উঠেছে পদ্মা। আর তার যৌবন ভরা রুপ দেখতে ভীড় করছে সৌন্দয্য পিপাসু বিভিন্ন বয়েসি মানুষ। প্রশাসন তাদের নিষেধাজ্ঞার বাঁধন খানিকটা আলগা করেছে। বলছে বিধি নিষেধ মেনে পদ্মার তীরে বিনোদন কেন্দ্রে আসা যাবে। নজর দারির জন্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী আর ভ্রাম্যমান আদালত।
শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় দশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মার তীর এখন বিনোদন কেন্দ্র। পশ্চিমে হাইটেক পার্ক, টি-বাঁধ, লালনশাহ পার্ক, বিজিবির নোঙ্গর আর বড়কুঠির পদ্মা গার্ডেন আর দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্র। পঞ্চবটি আইবাঁধ, তালাইমারি শহীদ মিনার সর্বত্র ভীড়। কি ভরা পদ্মা আর কি মরা পদ্মা সব সময় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপচেপড়া ভীড়। এখন করোনার কারনে উপচেপড়া ভীড় না থাকলেও বিভিন্ন বয়েসি মানুষ বিশেষ করে তরুন তরুনীদের আনাগোনা কম নয়। দিন দিন বাড়ছে। আর মুখরিত হয়ে উঠছে। ওরা পদ্মার রুপ রস উপভোগ করতে নৌকায় ভাসছে। এখন অন্য রকম দৃশ্য। ঘোলা পানিতে পা ভেজাচ্ছে আবার বছরের অন্য সময়ের মরা পদ্মার বিশাল বালিচরে ঘুরে বেড়ায়।
ঈদের পর পর গ্রাম থেকে অনেকে শহরের মেসে ফিরতে শুরু করেছে। খোঁজ খবর নিচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার। ক’মাস ধরে গ্রামে থাকতে থাকতে হাঁফিয়ে ওঠা জীবন থেকে মুক্তির স্বাদ নিতে পদ্মার পাড়ে দাড়িয়ে বুকভরে স্বাস নিচ্ছে। ছুটির দিন গুলোয় অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে নদী তীর আর বিনোদন কেন্দ্র গুলোয় ভীড় করছেন। বিশেষ করে ঘরবন্দী শিশু কিশোরদের নিয়ে ক্ষনিকের জন্য হলেও আনন্দে মেতে উঠছেন। দুপুরের পর থেকে ভীড় বাড়ছে। থাকছে রাত নটা পর্যন্ত।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন