শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সৈয়দপুরে স্বামীর বাড়ি থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সৈয়দপুর (নীলফামারী) জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২০, ৭:১৬ পিএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরের পল্লীতে গলায় ওঁড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে রীনা আক্তার রানী (২৬) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের প্রামানিকপাড়ার স্বামীর বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের প্রামানিকপাড়ার সফি উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে খাজা মঈনুদ্দিন (২৭)। ঢাকায় একটি বিউটি পার্লারে কাজ করাকালীণ নোয়াখালীর মেয়ে রীনা আক্তার রানী সঙ্গে গত ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে হয় তাঁর। স্বামী খাজা মঈনুদ্দিন একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী কম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। তাঁর কর্মস্থল কুমিল্লা। আর তাঁর স্ত্রীর একটি বিউটি পার্লারের দোকান রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। করোনা ভাইরাসের কারণে সেটি বন্ধ থাকায় গৃহবধূ রীনা আক্তার রাণী বর্তমানে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আর তাঁর স্বামী গত ২৭ জুলাই বাড়িতে এসে ২ আগষ্ট কর্মস্থলে চলে যান।
ঘটনার দিন আজ শনিবার রাতে গৃহবধূ রীনা আক্তার রানী স্বামীর বাড়ির নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে শেষ কথা হয় তাঁর। ভোর রাতে উঠে নিজের মোবাইল ফোনের সিম খুলে তার শ্বাশড়ীকে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে পুনরায় ঘুমিয়ে পড়ে গৃহবধূ রীনা আক্তার রানী। গতকাল শনিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির লোকজন ঘরের ভেল্টিলেটর দিয়ে দেখেন গৃহবধূ রীনা আক্তার রাণীকে ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওঁড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন। পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউর রহামানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা লাশটি নিচে নামান। এরপর গৃহবধূর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে। এ সময় ঘর থেকে একটি মোবাইল ফোন ও সিম আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে।
সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্বামীর বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে গৃহবধূর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন