বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন রোধে সুশাসনের বিকল্প নেই

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২০, ১২:১২ এএম

বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে এবং মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, এই উন্নতির ভাগীদার হতে পারেনি বেশিরভাগ মানুষ। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ তার অংশীদার হয়েছে। তাও বৈধভাবে নয়, দুর্নীতির মাধ্যমে। এভাবেই তারা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছে। সে দুর্নীতি বাড়তে বাড়তে, প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, ‘এখন মহীরুহ হয়ে গেছে’। তাই দেশে আয়বৈষম্য ব্যাপক হয়েছে। এক দৈনিকে প্রকাশ, ‘বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় আসে, তখন গিনি কো-এফিশিয়েন্ট ছিল ০.৩২%। ১০ বছর পর এসে তা বেড়ে ০.৪৯% হয়েছে। এটা ভয়ংকর। পৃথিবীর কোনও দেশে কো-এফিশিয়েট এত বেশি না।’ এছাড়া, ওই খবরে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বলা হয়েছে, ‘দেশে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে দ্রুতগতিতে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে এক কোটি টাকা বা এর বেশি আমানত রয়েছে এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা এখন ৮৩,৮৩৯টি। গত এক বছরে কোটিপতি অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ৮,২৭৬টি। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতের প্রায় ৪৩.৫% কোটিপতিদের দখলে। বাস্তবে কোটিপতির সংখ্যা আরও বেশি। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে শুধু যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে কোটি টাকার বেশি জমা আছে সেই সংখ্যা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে অনেকেই আছেন, যাঁদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।’ এর আগে দেশে ব্যাংক একাউন্টধারী কোটিপতির সংখ্যা কত ছিল? বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি ছিলেন মাত্র পাঁচজন। তার পর এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে ৪৭ জনে, ১৯৮০ সালের ডিসেম্বরে ৯৮ জনে, ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে ৯৪৩ জনে, ১৯৯৬ সালের জুনে ২,৫৯৪ জনে, ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে ৫,১৬২ জনে, ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ৮,৮৮৭ জনে, ২০০৮ সালে হয় ১৯,১৬৩ জনে ও ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ৭৫,৫৬৩ জনে।’ অর্থাৎ দেশে ক্রমান্বয়েই কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে এবং তা ব্যাপক হারে। ওয়েলথ এক্স’র রিপোর্ট-২০২০ মতে, ‘গত এক দশকে বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ১৪.৩% হারে ধনাঢ্য ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে শীষে।’ দেশে ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির এ ধারা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে তারা দেশের শতভাগ সম্পদের মালিক হয়ে যাবে! কিন্তু দেশের এই ধনীরা কি বিশ্বসেরা ধনী বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, ফাহিম ইত্যাদির মতো বিশ্বসেরা উদ্ভাবন করে কিংবা আমাজন, আলিবাবা, নেসলে ইত্যাদির মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানির মালিক হিসাবে ধনী হয়েছে? না, আমাদের দেশের ধনীরা এসব কিছুই নয়। এমনকি সবাই ধনীদের সন্তানও নয়। এদের দু’চার জন ছাড়া সকলেই ফাস্ট জেনারেশনের ধনী। গত ৮০’র দশক থেকে এদের ধনী হওয়ার যাত্রা শুরু। তাও দুর্নীতির মাধ্যমে। অবশ্য দুর্নীতির যাত্রা শুরু তারও আগে, স্বাধীনতার পরপরই। কম্বল চুরি, কালোবাজারী, দখল, পরীক্ষায় নকল, লুটপাট ইত্যাদির মাধ্যমে। তাই বঙ্গবন্ধু আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘মানুষ পায় সোনার খনি, আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।’ সেই চোররাই পরবর্তীতে ডাকাতে পরিণত হয়ে কেউ চিকিৎসা খেকো, কেউ নদী খেকো, কেউ বন খেকো, কেউ ভূমিদস্যু, কেউ টেন্ডারবাজ, কেউ বালিশ খেকো, কেউ পর্দা খেকো, কেউ পণ্য ভেজালকারী, কেউ অতি মুনাফাখোর, কেউ বড় ঋণ খেলাপি, কেউ মাদকের গডফাদার, কেউ শেয়ার খেকো, কেউ সোনা ও অস্ত্র চোরাচালানকারী, কেউ পরিবেশ দূষণকারী, কেউ মানব পাচারকারী, কেউ কর ও বিল ফাঁকিবাজ, কেউ ত্রাণ খেকো, আবার কেউ অর্থ পাচারকারী। গত এক দশকে দেশ থেকে প্রায় ৯ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যার ৮০% পণ্য আমদানি-রফতানিতে আন্ডার ইনভয়েস ও ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে হয়েছে বলে জিএফআইয়ের প্রতিবেদনে প্রকাশ। টিআই’র দুর্নীতির ধারণা সূচক-২০১৯ মতে, বিশ্বব্যাপী ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম (আগের বছর ছিল ১৪৯তম)। ইতোপূর্বে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নও হয়েছে দেশ। উপরন্তু দুর্নীতিবাজরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে মানুষকে ব্যাপক শোষণ করছে। অনেকেই দেশে-বিদেশে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। বিদেশে সেকেন্ড হোম, বেগম পাড়া করেছে। এই দুর্নীতিবাজদের প্রতীক সম্প্রতি স্বাস্থ্য খাতের ধৃত ব্যক্তিরা।

এই দুর্নীতিবাজরা রাজনৈতিক দলগুলোর ও প্রশাসনের অনেক কর্তার বড় ডোনার। উপরন্তু এরা বহুরূপী। তাই ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানেরও বড় ডোনার। আবার তারা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালনেও সরব। এছাড়া, যখন যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে, তখনই তাদের প্রধান ভক্তে পরিণত হয়। তারা কারা, তা সকলেই অবগত। কারণ, তাদের নিয়ে প্রচুর খবর প্রকাশিত হয়েছে দেশ-বিদেশের মিডিয়ায়। তবুও তাদের কিছুই হয়নি। অধিকাংশই ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকেছে এবং ক্রমান্বয়ে মহাক্ষমতাধরে পরিণত হয়েছে। টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক নিবন্ধে বলেছেন, ‘দুর্নীতির ক্ষেত্রে কান টানলে মাথা আসা উচিত। কিন্তু আমাদের জবাবদিহির জায়গাটা এমন একপর্যায়ে আছে, মাথা আসছে না। চুনোপুঁটি নিয়ে টানাটানি হচ্ছে। রাঘব বোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। একটা ঘটনা চাপা পড়ে যাচ্ছে আরেকটা নতুন ঘটনায়।’ আর ঢাবি’র অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম সম্প্রতি এক দৈনিককে বলেছেন, ‘পেছনে থেকে যারা সাহেদ বা পাপিয়া বানিয়েছে, তাদের কখনই ধরা হয় না বলেই আজ এদের বিস্তৃতি ঘটছে। আসলে এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।’ যা’হোক, দুর্বৃত্তরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছে বলে দেশের দুর্বৃত্তায়ন কমছে না, দিন দিন বাড়ছে। আর তাদের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ বিশাল। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাতের মতে, ‘বাংলাদেশে পুঞ্জীভূত অ-প্রদর্শিত অর্থের পরিমাণ ৩০-৪০ লাখ কোটি টাকার মতো, যা বর্তমান জিডিপির দ্বিগুণ।’ আর এদের সম্পদ যোগ করেই গড় মাথাপিছু আয় বেড়ে দুই হাজার ডলারের বেশি হয়েছে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষের গড় মাথাপিছু আয় এর অর্ধেকও নয়।

দুর্বৃত্তরা দেশের শান্তি ও উন্নতির চরম শত্রু। তবুও তারা বিত্তশালী ও সরকারের মদদপুষ্ট হওয়ায় সাহেদের মতোই সমাজের, রাজনীতির ও দেশের অতি সম্মানিত ও কর্ণধার। উপরন্তু তাদের অনেকেই রাজনীতিতে প্রবেশ করে রাজনীতি করায়ত্ত করে ফেলেছে। ফলে প্রকৃত রাজনীতিকরা রাজনীতি থেকে দূরীভূত হচ্ছে, যার প্রমাণ বর্তমান জাতীয় সংসদ। সেখানে প্রায় ৭০% সদস্য অ-রাজনীতিক। তথা ব্যবসায়ী ও সাবেক আমলা বলে খবরে প্রকাশ। ফলে দেশের রাজনীতি কলুষিত হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশ ও সমাজের সর্বত্রই। অবক্ষয় গোটা সমাজকে গ্রাস করে ফেলেছে।

দুর্বৃত্তরা মহান স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে ফেলছে। তাই দেশকে বাঁচাতে হলে, স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করা আবশ্যক। নতুবা তারা হয়তবা একদিন দেশটাকেই গিলে ফেলবে। তাই দুর্বৃত্তদের দমন করা অপরিহার্য। কিন্তু এটা শুধুমাত্র ঘোষণা দিয়েই হবে না। হলে দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণায় কাজ হতো। কিন্তু তা হয়নি দীর্ঘদিনেও। বরং বেড়েই চলেছে। তাই দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করার জন্য স্থায়ী ও কার্যকর পদ্ধতি দরকার। আর সেটা হচ্ছে সুশাসন। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলেই দুর্বৃত্তায়ন কমতে কমতে এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু টেকসই সুশাসনের জন্য প্রয়োজন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পূর্ণ স্বাধীন, শক্তিশালী এবং আর্থিকভাবে সচ্ছল করা। চলমান নামকাওয়াস্তে স্বাধীনতায় সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না। সর্বোপরি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তথা কমিশনগুলোর প্রধান ও সদস্যগণের নিয়োগের জন্য একটি নীতিমালা এবং সরকার ও বিরোধী দলের সমন্বয়ে সংসদীয় কমিটি থাকা আবশ্যক। যার মাধ্যমে কমিশনের প্রধান ও সদস্যগণ নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত হবেন। এর বাইরে অন্য কেউ নয়। নতুবা দলীয়করণ বন্ধ ও দক্ষ লোক নিয়োগ পাবেন না। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে না। উপরন্তু একইভাবে ন্যায়পালও প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। অপরদিকে, স্থানীয় সরকারের আওতাধীন উপজেলা, জেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনকে পূর্ণ স্বাধীন, শক্তিশালী ও আত্মনির্ভর করে সকল কর্মের প্রাণকেন্দ্র তথা কর আদায়, উন্নয়ন কর্ম, সেবা প্রদান, শিক্ষা, বিচার ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখভাল করার দায়িত্ব প্রদান করতে হবে। এমপিদের শুধুমাত্র আইন প্রণয়নের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। তাহলে ক্ষমতার ও রাজনীতির বিকেন্দ্রীকরণ হবে, জাতীয় রাজনীতি দুর্বৃত্তমুক্ত হবে এবং চেয়ারম্যান-এমপির দ্বন্দ্বর নিরসন ঘটবে, গণতন্ত্র বিকোশিত হবে। স্মরণীয় যে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে পূর্ণ স্বাধীন ও শক্তিশালী করার বিধান সংবিধানেও আছে। কিন্তু রাজনীতিবিদরা সার্বক্ষণিক সংবিধানের দোহাই দিলেও ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধানের এসব বাস্তবায়ন করেনি ক্ষমতা খর্ব হওয়ার ভয়ে। সংসদ ও সরকারের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করতে হবে। সরকারের কাজের জবাবদিহিতাও প্রতিষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, ক্ষমতার এককেন্দ্রিকতা দূর করতে হবে। দুর্নীতিবাজ, দখলবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের দ্রুত ও কঠোর শাস্তির জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, ব্যাংকিং ও স্বাস্থ্য খাতের নৈরাজ্য দূর করার জন্য পৃথক স্বাধীন কমিশন গঠন করা আবশ্যক। নামে-বেনামে রাখা অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিধান করা জরুরি। উপরন্তু প্রতিটি মামলা তিন বা চার তারিখের মধ্যে নিষ্পত্তি করার বিধান করা প্রয়োজন। এসব হলে মামলাজট দূর হবে, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে, অপরাধের সংখ্যা হ্রাস পাবে। সর্বোপরি সব কালাকানুন বাতিল এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত করতে হবে। প্রচারমাধ্যমগুলোকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা প্রয়োজন। নতুবা মিডিয়া প্রকৃত ভূমিকা পালন করতে পারবে না। দেশীয় মিডিয়ার প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাবে না। ভুল-ত্রু টি ধরা পড়বে না। তাই বুদ্ধিমান লোক শত্রুও ভালো। কিন্তু অনুগত দাস ও ভাঁড় দিয়ে কোনো কল্যাণ হয় না। প্রশাসনকে সম্পূর্ণরূপে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার ব্যবস্থা করতে হবে। অপব্যয়, অনিয়ম ও দুর্নীতি যাচাই করার জন্য অডিট প্রথা চালু আছে। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে এটা দেশে তেমন নেই। এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানেও। তাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই ব্যয়ের ক্ষেত্রে অপব্যয়, অনিয়ম ও দুর্নীতি বেড়েই চলেছে। ব্যয় যত বাড়ছে, এসবও তত বাড়ছে। যা উন্নতির চরম অন্তরায়। সে জন্য সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ের অডিট নিয়মিত ও সময় মতো করা বাধ্যতামূলক করা আবশ্যক। বলা বাহুল্য, সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে কে ক্ষমতায় এলো, কে গেল তাতে কোনো কিছু যায় আসে না। আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। দুর্বৃত্তরা দমন হবে। শান্তি ও সার্বিক উন্নতির পথ সুগম হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো বিতর্ক হবে না। এটাই সুশাসনের সুফল। উন্নত দেশগুলো এই পথ ধরেই উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। আর সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও তেমন লাভ হবে না। যাহা পূর্বং তাহা পরংই থেকে যাবে। বড়জোর বিশের যায়গায় আঠার হতে পারে এই যা। তাই শান্তি, সার্বিক উন্নতি ও গণতন্ত্র শক্তিশালী হওয়ার জন্য সুশাসন অপরিহার্য। এর বিকল্প নেই।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
jack ali ৯ আগস্ট, ২০২০, ৯:১৩ পিএম says : 0
There is only one solutions.. we are the creation of the Al-Mighty Creator-- He only knows what is best and what is wrong for us.. So we must establish the Law of Allah[SWT] then all the problem will be solved easily..
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন