শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রোপা আমনে ভরসা খুঁজছে কৃষক

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২০, ৯:১৩ পিএম

বন্যা, আষাড়ের ভারি বর্ষণ আর মৌসুমের শুরুতে সুপার সাইক্লোন আম্পানে বাজে সময় কাটিয়েছে কৃষক। খরিপ মৌসুমের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নাটোরের লালপুরের কৃষকরা নতুন স্বপ্ন বুকে নিয়ে আবারো বর্ষা মৌসুমের একমাত্র ফসল রোপা আমন ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে।
আষাঢ়ের আগাম ভারি বর্ষণের মাঝে বীজতলায় বীজ বপন শেষে শ্রাবণের মাঝে জমি তৈরি, বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ ও জমিতে ধানের চারা রোপনে এখন দারুণ ব্যাস্ত এই উপজেলার কৃষকরা। রোপা আমনেই এখন ভরসা খুঁজে নিচ্ছে কৃষক।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার মাঠ জুড়ে চলছে রোপা আমন ধানের চারা রোপনের প্রতিযোগিতা। চলতি মৌসুমে দফায় দফায় ভারি বর্ষণে নষ্ট হয়ে গেছে এই অঞ্চলের কৃষকের চাষকৃত সকল প্রকার ফসল। তারপরেও প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বর্ষা মৌসুমে ধান চাষে মেতে উঠেছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। শতব্যস্ত দেখেও কথা বলতে চাইলে জনাব শাহ, সালাম শাহ ও আজের আলি শাহ জানায়, এ বছর অতিবৃষ্টিতে পাট, ভুট্টা, মুগকালাইও তিল ডুবে মরে গেছে, আর রোপা ধানের বীজতলাও ডুবে অনেক চারা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক কষ্টে ধার-দেনা করে ধান রোপন করছেন তারা।
ওয়ালিয়া গ্রামের ধান চাষী নাজমুল হক ও তফিজ উদ্দিন জানায়, এবছর তারা দুই বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন। প্রতিবিঘা জমিতে ধান রোপন করতে প্রথম অবস্থায় (চাষ, মই, সার ও শ্রমিক) বাবদ ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমি থেকে ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত বিঘা প্রতি আরো ৪-৫ হাজার টাকা খরচ হবে।
তারা আরো জানায়, এবছর অতিবৃষ্টির জন্য জমিতে পানি জমে থাকায় এখনো অনেক কৃষক ধান রোপন করতে পারেনি। ফলে রোপা আমন ধান চাষে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এছাড়াও চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষের খরচ অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকই তাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান চাষ করতে পারছেন না।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই মৌসুমে উপজেলায় ৭৮০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর এই উপজেলায় ৭৩৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছিলো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন