জাতীয় দলের ফুটবলারদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের হার ৭৫ শতাংশ। এই হার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)সহ সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কাতার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাকি চার ম্যাচকে সামনে রেখে ৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পে জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডের ৩৬ ফুটবলারের মধ্যে তিনজনকে যোগ দিতে দেয়নি তাদের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। এছাড়া অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এবং দলে নতুন ডাক পাওয়া ফিনল্যান্ড প্রবাসী ডিফেন্ডার তারিক রায়হান কাজী ইউরোপ থেকে আসতে পারছেন না ফ্লাইট সমস্যার কারণে। এই পাঁচজন ছাড়া কোচ জেমি ডে’র হাতে এখন রয়েছেন ৩১ জন ফুটবলার। এই সংখ্যার মধ্যে গত দুইদিনে ২৪ জন রিপোর্ট করেছেন ঠিকই কিন্তু ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৮ জন প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই খবরে প্রায় লন্ডভন্ড জাতীয় দলের গাজীপুরস্থ সারা রিসোর্টের আবাসিক ক্যাম্প।
বাফুফের জাতীয় দল কমিটি ও প্রধান কোচ জেমি ডে’র নজরদারিতে থাকা সত্বেও ফুটবলারদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রামণের হারটা সবাইকে বিস্মিত করেছে। তাই আগামীকাল নেগেটিভ এবং পজিটিভ হওয়া সব ফুটবলারকে দু’টি প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে দুইবার করোনা পরীক্ষা করানো হবে। এক্ষেত্রে কোচ ও কর্মকর্তারাও বাদ যাবেন না।
গতকাল বিকেলে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভার পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘অনেক সময় করোনা পরীক্ষার ফল সঠিক নাও হতে পারে। তাই নিশ্চিত হতে সোমবার দুই প্রতিষ্ঠানে দুইবার সব জাতীয় দলের সবার নমুনা পরীক্ষা করানো হবে।’ তিনি যোগ করেন,‘দুই প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া ফলাফল মিলে গেলে সেটাকে আমরা সঠিক ধরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো। আর দুই রকম ফল আসলে কয়েকদিন পর আবার পরীক্ষা করানো হবে। সোমবারের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর আমাদের অনেক কিছু নির্ভর করছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন