শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সিলেট পরিবেশ অধিপ্তরের পরিচালকের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করলেন লোভাছড়ার পাথর ব্যবসায়ীরা

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২০, ৬:৪১ পিএম

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠছে সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে। ৪’শ পাথর ব্যবসায়ীর ক্ষয়ক্ষতি সহ অনিয়ম দূর্নীতির ঘটনা তোলে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন, সিলেটের উপ-পরিচালক মো. নুর-ই আলম বরাবরে এ অভিযোগ দায়ের করেছেন পাথর ব্যবসায়ী মো. মদরিছ আলী। আজ রোববার (৯ আগষ্ট) বিকেলে এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। মদছির আলী স্থানীয় গোয়াইনঘাটের ফেনাইকোণা গ্রামের মৃত মকরম আলীর পুত্র ও মেসার্স লাকী এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিগত ১০ জুলাই থেকে ৪ শতাধিক পাথর ব্যবসায়ী উপর ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের আলোচিত পরিচালক এমরান হোসেন। পদ ও পদবী ব্যবহার করিয়া খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধিনস্থ খনিজ সম্পদ আইন এবং বিধিমালা অনুযায়ী খনিজ সম্পদ ব্যুরোর এখতিয়ারভূক্ত পন্য পাথর বে-আইনী জব্দনামা করত: নিজের এখতিয়ারের বাইরে যেয়ে ৩দফা নিলাম ও পুন: নিলাম বিজ্ঞপ্তি দিয়াছেন ওই পরিচালক। লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর পাথর ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করিলেও তা আমলে না নিয়া তাহার আইন বহির্ভূত ক্ষমতার অপব্যবহার করিবার চলমান কার্যক্রম বন্ধ করেন নাই তিনি। অভিযোগকারী জানান, তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান মেসার্স লাকী এন্টার প্রাইজ বিভিন্ন রশিদের মাধ্যমে বৈধভাবে সরকারি রয়েলিটি দিয়ে ৩,৭০,০০০/- (তিন লক্ষ সত্তর হাজার) ঘন ফুট পাথরের (আনুমানিক ক্রয় মূল্য চুয়াত্তর লক্ষ টাকা) খরিদ সূত্রে মালিক তিনি। কিন্ত এ পাথর সহ প্রায় ১ কোটি ঘনফুট পাথর মালিকবিহীন ঘোষণা করিয়া বে-আইনী জব্দ করেন স্মারক নম্বর বিহীনভাবে গত ১৬ জুলাই। জব্দ তালিকায় উল্লেখ করেছেন ১কোটি ০৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪ শত ৮৮ ঘনফুট। পরবর্তীতে গত ২১ জুলাই সমূহ কাগজপত্র সহ পাথরের মালিকানা দাবী করে এই জব্দ কর্ম ও দলিল যে বে-আইনী এ বিষয়টি অবহিত করি তাকে। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে দাবীর বিষয়টি এড়িয়ে যান ওই আলোচিত পরিচালক এমরান হোসেন। এছাড়া ১৬জুলাই কথিত জব্দ কার্যক্রম বিষয়ে স্থানীয় ৩ ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে আইনজীবী নিযুক্ত করিয়া ২ জুলাই ই-মেইল জেলা প্রশাসক, সিলেট এর মাধ্যমে ও এডি সহ ডাক যোগে বর্ণিত বিবাদীর নিকট ৯০ (নব্বই) লক্ষ ঘনফুট পাথরের মালিকানা দাবী করিয়া স্বারক নং ০২ (২)ও ০৪(ং) এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। আইন অনুযায়ী লিগ্যাল নোটিশ নিস্পত্তির কথা থাকলেও তা আমলে নেন নাই এবং করেন নাই নিষ্পত্তিও তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
এম মঈনুল হক বুলবুল ৯ আগস্ট, ২০২০, ১১:৩১ পিএম says : 0
এই কর্মকর্তা যে পরিমান অন্যায় করেছেন পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের সাথে তার কোন বর্ননাই হয় না। এ রিপোর্টে একটা অংশ আসলো মাত্র।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন