আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ পুনর্গঠনের সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ঋণ পুনর্গঠনে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় বেশি পাবেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপিরা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
চলমান সংকট বিবেচনায় ব্যাংকবহির্ভ‚ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসি) দাবির প্রেক্ষিতে এ মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে গত ৩০ জুন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠকে ঋণ পুনর্গঠনের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বিএলএফসি। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৫০ শতাংশ সময় বাড়ানো সুযোগ দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। ওই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে গতকাল সময় বাড়িয়ে সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশে কার্যরত সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়, বিদ্যমান কোভিড-১৯ বাস্তবতায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ যাতে গ্রাহকের আর্থিক সঙ্গতি বিশ্লেষণ করে স্বীয় বিবেচনায় পুনর্গঠনের সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে সে লক্ষ্যে ‘ঋণ/লিজ সুবিধার মেয়াদ বৃদ্ধির সময়সীমা অবশিষ্ট মেয়াদের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারবে’। পূর্বে এই সময়সীমা ছিল ২৫ শতাংশ।
ব্যাংকাররা জানান, পূর্বে যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৮ বছর মেয়াদি কোনো ঋণ পুনর্গঠন করার জন্য সময় পেত দুই বছর। এখন থেকে তারা একই ঋণ পুনর্গঠনে সময় পাবেন চার বছর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন