ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসার ফলে জেলার সবগুলোর নদ-নদীর পানি এখন বিপদসীমার নিচে। ঘাঘট, তিস্তা, করতোয়া ও বাঙালীসহ অন্যান্য নদীর পানি বিপদসীমার অনেক নিচে নেমে আসে। কিন্তু নদী তীরবর্তী ২৬টি ইউনিয়ন ও চরাঞ্চল থেকে এখনো বন্যার পানি নেমে যায়নি। ঘরবাড়ির উঠানে এখনো বন্যার পানিতে নিমিজ্জিত। দীর্ঘ ৪৫ দিন যাবৎ বন্যার পানিতে তলীয়ে আছে এসব ঘরবাড়ি। ফলে এসব পরিবার গুলো এখনো বাঁেধ ও আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। একারনে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের জন দূর্ভোগ বেড়েছে। ভাষার পাড়া গ্রামের রহমান জানান ঈদের আগে ত্রান ও ভিজিএফ এর চাল পেয়েছি। কিন্তু এ চাল দিয়ে ৭ দিনেও চলেনি। ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় এখনো বাঁধেই রয়েছে। কোন কাজ নেই পরিবারের ৫জন কে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে রয়েছি।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছে, বন্যায় ৪টি উপজেলায় ৪৪টি ইউনিয়নের ১ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ২শ ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে নিমিজ্জিত ছিল। এছাড়া ৬৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থরা আশ্রয় নেয়। বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলায় খয়রাতি সাহায্য হিসেবে ৬০৫ মে. টন চাল, নগদ ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, গো-খাদ্যের জন্য ১২ লাখ, শিশু খাদ্যের জন্য ৬ লাখ এবং ৬ হাজার ৬৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, বন্যায় সাড়ে ৩ হাজার জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এসব কৃষকদের পূর্ণবাসনের জন্য ১শ ৫ বিঘা জমিতে আমন চারা তৈরি করা হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলেই আগামী সপ্তাহে এসব চারা বিতরন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন