ফিলিস্তিনের জেরুজালেম শহরের কাছে মোটজায় ইসরায়েলের এক অলংকার তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান ইভেল কোম্পানির তৈরি হচ্ছে একটি মাস্ক বিক্রি হয়েছে ১৫ লাখ ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার বেশি। স্বর্ণ ও হীরা খচিত এ ফেস মাস্কটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দামি করোনাভাইরাস মাস্ক বলে মনে করা হচ্ছে।
মাস্কের নকশাবিদ ও অলংকার তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান ইভেলের মালিক আইজ্যাক লেভি জানান, ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ১৮ ক্যারেটের সাদা স্বর্ণের মাস্কটিতে থাকছে তিন হাজার ৬০০ সাদা ও কালো হীরা। আর মাস্কের যে মূল কাজ, সে জন্য থাকছে উচ্চমানের এন৯৯ ফিল্টার ব্যবস্থা। মাস্কটি সম্পর্কে লেভি বলেন, ‘ক্রেতার দুটি দাবি ছিল। এক, মাস্কটি চলতি বছরের শেষ নাগাদ তৈরি করে শেষ করতে হবে। দুই, এটি হতে হবে বিশ্বের সবচেয়ে দামি। শেষ শর্তটি যে পূরণ করা সবচেয়ে সহজ ছিল।’
মাস্কটির ক্রেতা একজন চীনা ব্যবসায়ী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। এ ছাড়া ক্রেতার আর কোনো পরিচয় প্রকাশ করেননি আইজ্যাক লেভি। বিখ্যাত এই নকশাবিদ আরও বলেন, ‘অর্থ দিয়ে হয়ত সবকিছু কেনা যায় না। তবে দাম দিয়ে কেউ যদি করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে মাস্ক কেনেন, বুঝতে হবে তিনি বাইরে হাঁটতে গিয়ে অন্যের মনোযোগও আকর্ষণ করতে চান। ক্রেতাগণ এ মাস্ক নিয়ে নিশ্চয়ই খুশি হবেন।’
আল আরাবিয়া বলছে, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চলে বাইরে মাস্ক পরিধান করা অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ইভেল যে মাস্কটি তৈরি করছে তার ওজন হবে ২৭০ গ্রাম। সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্কের তুলনায় যা ১০০ গুণ ভারী। তাই এই দামি মাস্ক কতক্ষণ পড়ে থাকা যাবে তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। সূত্র : এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন