শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সারাদেশে নদীর বাঁধে দু পাড়ে ১০ লাখ গাছের চারা রোপণ হবে : পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে সারাদেশে এক কোটি গাছের চারা রোপণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী-খালপাড় ছাড়াও বাঁধ ও অন্য ফাঁকা জায়গায় ১০ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
গতকাল সোমবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সংক্রান্ত এক সাংবাদিক সম্মেলন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী গত ১৬ জুলাই জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২০ উদ্বোধন করে দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশে যাতে বনায়ন ও সবুজ বেষ্টনীর সৃষ্টি হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এক কোটি গাছের চারা রোপণের কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। এই বৃক্ষরোপণের ফলে একদিকে যেমন দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে দেশের জনগণের খাদ্য ও পুষ্টিচাহিদা মেটাতেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন প্রতিপালনের লক্ষ্যে মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এর অধীন দফতর ও সংস্থার অফিস প্রাঙ্গণ, আওতাধীন জমি, বিশেষত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের নদী-খালপাড় ছাড়াও বাঁধ ও অন্য ফাঁকা জায়গায় বনজ, ফলজ ও ভেষজ গাছ রোপণের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় কেবল বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৯টি বিভাগের অধীনে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটারে মোট ১০ লাখ বৃক্ষ রোপণ করা হবে।
জাহিদ ফারুক বলেন, রোপণকৃত এসব গাছের সঠিক পরিচর্যার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা এবং অধীনস্থ সংস্থার কর্মকর্তারা আগামী ১১-১৪ আগস্ট এবং ২৭-৩০ আগস্ট দুই ধাপে দেশের সকল জেলায় বৃক্ষরোপণ কাজ তদারকি করবেন। আমি এবং উপমন্ত্রী এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জেলার উন্নয়ন সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবদেরও অনুরোধ জানিয়েছি।
জেলা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক সকলের সাথে সমন্বয় রেখে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে সফল করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
জেলা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ স্কাউটস সদস্য, মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, সংবাদমাধ্যমের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন