বন্দরের ইস্পাহানী ঘাট এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলা থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাপ দেয় দুই কিশোর৷ সাত ঘন্টা নিখোঁজের পর রাত সাড়ে ১১টায় দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷
নিহত দুই ছাত্র হল কলেজ ছাত্র নিহাদ (১৮) ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্র জিসান (১৫)৷ বন্দরের নাজিম উদ্দিন খানের ছেলে ও বন্দর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কমল খানের ভাতিজা নিহাদ কদমরসুল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র। বন্দর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিনের ছেলে জিসান বন্দরের বিএম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র৷
সোমবার (১০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বন্দরের ইস্পাহানী ঘাট সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দুই কিশোর গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে৷ এ সময় ঘাটের একটি নৌকায় ওঠে জিসান ও নিহাদ৷ কিশোর গ্রুপের একটি দল ওই নৌকাতে উঠলে ধাওয়া করে বিপক্ষ গ্রুপটিও নৌকাতে ওঠে৷ পরে নদীতে ঝাপ দেয় কিশোর দল৷ তাদের দেখাদেখি পানিতে ঝাপ দেয় নিহাদ ও জিসানও৷ অন্যরা সাঁতরে পাড়ে উঠলেও নিখোঁজ হয় নিহাদ ও জিসান৷ রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের লাশ পাওয়া যায় নদীতে৷
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দিন ভূইয়া জানান, বিকেলে একদল কিশোর অন্য দলকে ধাওয়া করে৷ সেসময় ওই দুই কিশোর ঘাটের একটি নৌকাতে দৌড়ে ওঠে৷ পরে সেখানেও এই কিশোর দল উঠলে ভয়ে তারা নদীতে ঝাপ দেয়৷ তখন নিখোঁজ হয় তারা৷ প্রাথমিক অবস্থায় এমনটা জানা গেছে৷ রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের লাশ পাওয়া যায়৷ পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন