শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সেদিন কীভাবে কী ঘটেছিল সবই বলব : সিফাত-শিপ্রা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহার সহকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ বলেছেন, সেদিন (সিনহা হত্যাকান্ডের দিন) কী ঘটেছিল, কীভাবে ঘটেছিল সবই বলব। আমাদেরকে একটু সময় দিন। গত সোমবার সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ সব কথা বলেন তারা। পুলিশের দায়ের করা মামলায় জামিন পাওয়ার পর দু’জনই এখন তাদের পরিবারের কাছে রয়েছেন।

সিফাত সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের নিয়ে দেশবাসীয় বেশ কয়েক দিন উদ্বিঘ্ন ছিলেন। গুজব ছড়িয়েছিল যে, আমার পায়ে গুলি লেগেছে। আসলে সেরকম কিছু হয়নি। আমি শারীরিকভাবে সুস্থ আছি। শিপ্রা বলেন, আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা দু’জন ভালো আছি। কিন্তু আমাদের একজন বন্ধু (সিনহা) নেই। যে ঘটনা ঘটেছে আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি দেখতে চাই। আপতত আমরা সবার দোয়া চাই। এই মুহূর্তে বেশি কিছু বলতে পারছি না। যা ঘটেছে সব সত্যই আমরা বলব। কোনো সত্য গোপন করব না। তিনি বলেন, প্রচুর গুজব শোনা যাচ্ছে। আজেবাজে অনেক নিউজ হচ্ছে। আমরা বিভ্রান্তিমূলক কোনো খবর চাই না। তিনি আরও বলেন, আমরা যে ক’দিন কারাগারে ছিলাম সে ক’দিন কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে খুবই ভালো ব্যবহার করেছে। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

এছাড়া সিনহার অপর সহযোগী তাহসিন। সিনহা হত্যাকান্ডের দিন যে রিসোর্ট থেকে সহযোগী প্রিপাকে গ্রেফতার করা হয় ওই হোটেলে ছিলেন তাহসিনও। মূলত তিনি ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ করতেন। ওইদিন দুই লাখ টাকা এবং মাদকসহ শিপ্রাকে গ্রেফতার দেখানো হলেও তাহসিনকে দু’দিন আটকে রেখে তার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। অপর এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ঘটনার দিন তারা সারাদিন পাহাড়ে ভিডিওর কাজ করেছেন। ইয়াবা নিয়ে নয়, দুঃসাহসিক ট্রাভেল ভিডিও তৈরি করছিলেন তারা। গত ৩১ আগস্ট রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা রাশেদ খান। ঘটনাস্থল থেকে গ্র্রেফতার করা হয় সিহনার সহযোগী সিফাতকে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সিনহা, শিপ্রা ও সিফাতের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করে পুলিশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ১২ আগস্ট, ২০২০, ১০:৪০ পিএম says : 0
অবসরপ্রাপ্ত মেজর শুনলে মনে হয় একজন বয়স্ক লোক। আসলে মেজর (অবঃ) সিনহা একজন যুবক তাঁর সাথে যারা প্রামাণ্য চিত্র করতে গিয়েছিলেন তারা সবাই ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও ছাত্রী। কাজেই এনারা সবাই অল্প বয়সের লোকজন এদের কিবা গোপন থাকতে পারে যে জন্য এতবড় একটা হত্যাকান্ড পুলিশ ঘটিয়ে ফেলেছে। কিযে রহস্য এটা জানা খুবই প্রয়োজন। এই হত্যাকান্ডের আসোল মোটিভ বেরকরা সম্ভব হবে কিনা এটা নিয়ে এখন প্রচুর আলোচনা সমালোচনা চলছে। তবে র্যা বের তদন্তের প্রক্রিয়ায় দেখা যাচ্ছে তারা প্রকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আগে আসেপাসের লোকজনদের কাছ থেকে যতটা সম্ভব জেনে নিচ্ছে এটা একটা ভাল লক্ষন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন