গত কয়েক দশক থেকেই উত্তর কোরিয়ায় চলছিল দেহব্যবসার জমজমাট ব্যবসা। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে শীর্ষ সামরিক কর্তাদের এই মধুচক্রগুলির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এবার এসব দেহ ব্যবসার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। তাঁর নির্দেশে দেহব্যবসা চালানোয় মদত দানের অভিযোগে রাজধানী পিয়ং ইয়ংয়ের রাস্তায় এদের প্রকাশ্যে গুলি করা হয়। এ ছাড়াও আরো দু'জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এখবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা রেডিও ফ্রি এশিয়া।
জানা গেছে, উত্তর কোরিয়ায় ২০-২৫ বছরের তরুণীদের চাকরি এবং নগদ টাকা উপার্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে ব্যবহার করা হয়। এই কাজে দেশটিতে বিভিন্ন যৌনচক্র গড়ে উঠেছে।
যৌনচক্র থেকে উদ্ধার করা তরুণীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই পিয়ংইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তারা বলেন, তাদের কাছে আগাম টাকা পৌঁছে দেওয়া হতো। এরপর ব্ল্যাকমেইল বা ভয় দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করা হতো। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদেরও দেহ ব্যবসার কাজে জোর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, পুরো ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ কিম দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। উত্তর কোরিয়ার আইনে এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও অভিযুক্তদের সোজা গুলি করার নির্দেশ দেন কিম। এছাড়াও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে খুঁজে বের করার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং-উন।
জানা গেছে, সার্বজনিক স্নানঘরগুলিতে চলত মধুচক্র। সেখানে টাকা ফেলে যৌনতায় মেতে ওঠতেন বহু সরকারি আমলা ও নেতা। ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত মহিলাদের প্রায় সকলেই পিয়ংইয়ং ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। ওই কলেজগুলিকে নিয়মিত আর্থিক অনুদান দিতেন কিম। উত্তর কোরিয়ার আইনে এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে ৫ বছরের কারাবাস ও শ্রমের সাজা হয়ে থাকে। তবে অভিযুক্তদের সোজা গুলি করার নির্দেশ দেন কিম।
পিয়ংইয়ং পৌরসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘প্রকাশ্যেই গুলি করা হয় ওদের। চারজন্য পার্টির পদস্থ নেতা ছিল এবং দু’জন দালাল।’ তবে এতেই তদন্ত বন্ধ হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে খুঁজে বের করার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার দাপুটে শাসক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন