চট্টগ্রাম বন্দরের ‘পি’ শেডে থাকা আমদানিকৃত রাসায়নিক ও বিপজ্জনকপণ্যের তালিকা করা হচ্ছে।
এ লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) প্রধান করে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সদস্য করা হয়েছে বন্দরের দুইজন পরিচালক (নিরাপত্তা এবং পরিবহন), কাস্টম হাউসের প্রতিনিধি (যুগ্ম কমিশনারের নিচে নয়), পরিবেশ অধিদফতরের প্রতিনিধি ও কাস্টম হাউসের রাসায়নিক পরীক্ষককে। এর বাইরে প্রয়োজনে অন্য যেকোনো কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবে কমিটি।
সম্প্রতি লেবাননে বিস্ফোরনের ঘটনার পর দেশে মজুদ বিপজ্জনক রাসায়নিকের অবস্থা জানার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষ বিপজ্জনক রাসায়নিকের অবস্থা জানতে এবং নিরাপদে সরাতে এ কমিটি গঠন করে।
জানা যায় বন্দরের ১৪টি শেডের মধ্যে বিপজ্জনক পণ্য রাখা হয় ‘পি’ শেডে। এর বাইরে বিভিন্ন ইয়ার্ডে বিপজ্জনক পণ্যের ক্যাটাগরি অনুযায়ী কন্টেইনার রাখা হয়।
কয়েক যুগ আগে আমদানি করা পণ্যও রয়েছে এ শেডে। নিলাম প্রক্রিয়ায় ধীরগতি, মামলা, উপযোগিতাহীন পণ্য ধ্বংসে জটিলতা, ধীরগতির কারণে এসব পণ্যের স্তূপ জমছে। এতে বন্দরে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ছে।
কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন বন্দর চেয়ারম্যান বরাবর পেশ করতে বলা হয়েছে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বন্দরের ৩ নম্বর শেডে দীর্ঘদিন খালাস না নেওয়া কিছু পণ্য আগুনে পুড়ে গেছে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় বন্দরে আসা কেমিক্যাল ও ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের অখালাসকৃত চালানের সর্বশেষ অবস্থা নিরূপণ ও করণীয় নির্ধারণের জন্য কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন