মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পিস্তল গাড়িতে রেখেই নামেন সিনহা

প্রত্যক্ষদর্শী সিফাত

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

মেজর সিনহা (অব.) যখন গুলিবিদ্ধ হন, সে সময় তার পাশেই ছিলেন তার তথ্যচিত্রের কাজের সহকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাত। পরে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে গিয়ে সিফাতকে হাতকড়া পরিয়েই রাখা হয় কয়েক ঘন্টা। করা হয় জিজ্ঞাসাবাদ। সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিওতেই বোঝা যায় কী ঘটেছিলো সেদিন।

সিনহার সহকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাত বলেন, না কোন অস্ত্র ছিলো না। আমাদের হাতে ট্রাইপড ছিলো ওইটাকে উনারা ভুল বুঝতে পারেন। কিন্তু পাহাড় থেকে নামার সময় কোন অস্ত্র ছিলো না। আমি হাত তোলা দেখে পিছনে চলে এসেছি। আমাদের আগেই গাড়ি থেকে নামতে বলেছিলো। শামলাপুর চেকপোস্টে পরিচয় জানার পর গাড়ির সামনে ড্রাম ফেলে আটকে দেয়া হয় তাদের।

সিফাত আরও বলেন, আমরা প্রথম যখন পৌঁছেছি আমাদের বলা হলো আপনাদের সম্বন্ধে জানান। আমরা গাড়ির গ্লাস ওঠানোর সময় উনি আসলেন। এসে উনি বললেন, দাঁড়ান আবার বলেন। তারপর উনি দৌড়ে গিয়ে ড্রামটা সামনে দিয়ে দিলেন। উনাদের গায়ে পুলিশের ইউনিফর্ম ছিলো না। তারা ৪-৫ জন ছিলো। তারপরই গাড়ি থেকে বের হতে বলে পুলিশ। সাহেদুল ইসলাম সিফাত জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে চিৎকার ছিলো যে, বের হ গাড়ি থেকে। আমি যখন গাড়ি থেকে নেমে পিছনে হাঁটা শুরু করি, উনিও গাড়ি থেকে নামেন। তারপর বলেন কাম ডাউন, কাম ডাউন। এরপর আমি গুলির শব্দ শুনি। তারপর আমি দেখলাম সিনহা স্যার মাটিতে পড়া। তখন আমি ভেবেছিলাম শরীরে লাগেনি, হয়তো ফাঁকা আওয়াজ করেছেন, উনি হয়তো মাটিতে শুয়ে পড়েছেন। তারপর দেখলাম উনার শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে।

সিনহার অবস্থান এবং অস্ত্র কোথায় ছিলো? এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সিফাত জানান, সিনহা স্যার যখন গাড়ি থেকে নামেন আমি দেখেছি উনি পিস্তলটা গাড়িতে রেখে নেমেছেন। আমি দেখেছি উনি দু›হাত তুুলে গাড়ি থেকে নেমেছেন। আমিতো পিছনে ছিলাম তাই আমি শুধু দেখেছি উনি নিচু হয়ে ছিলেন। তাই উনার পদক্ষেপটা আমি দেখতে পাইনি। সিফাত জানান, গুলি করার সময় আশেপাশে তেমন কোন লোকজন ছিলো না। দূরে হয়তো ছিলো তবে প্রথমদিকে কোন ভিড় হয়নি। প্রথমে পেছনে একটা বা দুুইটা গাড়ি ছিলো। পরে ক্রাউড হয়েছিলো। এই সিফাত সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী।

জেলখানায় বসেও ফেসবুক চালান ইন্সপেক্টর লিয়াকত!
জেলখানায় বন্দি থেকেও ফেসবুক চালাচ্ছেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর (আইসি) লিয়াকত আলী। সিনহাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার ফেসবুক আইডি ‘অ্যাকটিভ’ দেখাচ্ছে। গতকাল রাতেও ফেসবুক মেসেঞ্জারে তার আইডি অনলাইনে পাওয়া যায়। এমনকি গত ৬ আগস্ট আদালত থেকে কারাগারে যাওয়ার দিনও তার আইডির ‘ প্রোফাইল পিকচার’ পরিবর্তন করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Monirul Islam Milon ১৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০২ এএম says : 0
Exatra judicial killing is not supported.It is a one type of crime we want justice for major Sinha Besides Delayed & bias judiciary system is not supported.
Total Reply(0)
Ave Belal ১৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০৩ এএম says : 0
সাংবাদিকতা একটা সম্মানি এবং সাহসী পেশা। কিন্তু আপনারা এতো চুপ ছিলেন কেনো? কি করলেন এতোটা সময় ? যাইহোক সাধুবাদ জানাই খবরটি প্রকাশ করার জন্য
Total Reply(0)
Alamgir Hossain ১৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০৩ এএম says : 0
সিনহা তার চাকুরী থেকে অবসর নেওয়ার কারন ও সেনাবাহিনী সহ সকল জায়গায় অশান্তির শকুন বসে আছে তা সে ডকুমেন্টারির মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। যাতে জনগণের বুজতে সহজ হয়। তাই দাদাবাবুদের ইশারায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর ইয়াবা, প্রদীপ, কোবরা এগুলো হল নাটক আসল গঠনা আড়াল করার জন্য। যার প্রমান তিন হয়ে গেল প্রদ্বীপ ও লিয়াকতকে রিমান্ডে নেওয়া হয় নাই।।।
Total Reply(0)
Md. Alauddin Kader ১৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০৪ এএম says : 2
ঘটনা যাই হোক মেজর সাহেব কেন নিজের ট্রেনিং ভুলে গেলেন।সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবহার করলে হয়ত নিজের জীবনটা হারাতে হত না।
Total Reply(0)
Sharif Uddin ১৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০৪ এএম says : 0
এসপি, ডিআইজি, সবাই জড়িত টাকার জন্য এরা ঢাল হিসাবে প্রদীপজ্বালিয়ে রাখছিলেন।প্রদীপ একদিনে জ্বলে নাই অনেক সাধনার পর জলসে,অনেকে টাকার মালিক বানাইছে।
Total Reply(0)
MD Rashed ১৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০৫ এএম says : 0
টেকনাফ থানার সাবেক বিতর্কিত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত গত তিন বছরে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর, পরিবারের সদস্য ও তার কাছে দূরের সকল আত্মীয় স্বজনদের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখা অতিব জরুরী। এ ব্যাপারে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন টেকনাফ বাসী। আর টেকনাফ বাসীর দাবী কোনো কথা ছাড়া ফাশি চাই ।সেই একজন ভারতের দালাল কুওা প্রদিপ ।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ১৪ আগস্ট, ২০২০, ১২:১৫ এএম says : 0
সিফাতের কথায় বিষয়টা পরিষ্কার যে, সিনহাকে লিয়াকত মিয়া নিজ দায়িত্বে গুলে করে হত্যা করেছে। এখন বিচার করতে গিয়ে অন্যান্য বিষয় এখানে না জড়ানোই ঠিক হবে। সিনহার বোন মামলা দিয়েছে লিয়াকত গং এরা তাঁর ভাইকে হত্যা করেছে। এখন আদালতে এর উপরই বিচার করতে হবে। প্রথমেই বিচার করবে হত্যার কাজেই সিফাত হচ্ছে প্রত্যক্ষ সাক্ষি যিনি সিনহার সাথেই ছিলেন এবং তাঁর সামনেই সিনহাকে হত্যা করা হয়েছে। কাজেই তাঁর সাক্ষিই হবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সাক্ষি। এখানে সিফাত যেভাবে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে এতে প্রতিয়মান হয় যে সিনহা তাদের কথা মতই হাত উচু করে ওদের নির্দেশ কাম ডাউন বলাতে সিনহা নিচু হয়ে ছিলেন। এখন পুলিশ যে বলছিল সিনহা গাড়িথেকে নামার সময় পুলিশদেরকে মারতে চেয়েছিল সেটাকি সত্য??? যাই হউক এখন জনগণ চায় আদালত যাতে এখানে কোনভাবেই প্রভাবিত না হয়। আমারা আল্লাহ্‌র দরবারে প্রার্থনা করছি এবং আল্লাহ্‌র সাহায্য কামনা করছি আল্লাহ্‌ যেন এই বিচারটা যাতে কোনভাবেই বিচারক প্রভাবিত না হন সেই ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন। আল্লাহ্‌ চাইলে আমি নিশ্চিত হাকিম অবশ্যই সঠিক ভাবেই বিচার করবেন এবং হত্যাকারীদেরকে সঠিক সাজা দিবেন এতে কোন ব্যাতয় হবে না। আর আমরা যদি সবাই মিলে আল্লাহ্‌র দরবারে এই বিচারের জন্যে আল্লাহ্‌র সাহায্য না চাই তাহলে আল্লাহ্‌ নীরব থাকবেন এটাই আল্লাহ্‌র আইন। তাই আমি সবার প্রতি আবেদন করছি আপনারা সবাই আল্লাহ্‌র সাহায্য কামনা করেন যাতে বিচারক কোনভাবেই প্রভাবিত না হয়ে সঠিক বিচার করেন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন