মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধু আগেই জিয়াউর রহমানকে চিনতে পেরেছিলেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নৃশংস হত্যাকান্ডের আগেই জিয়াউর রহমানকে চিনতে এবং তার উচ্চাভিলাসী মনোভাব সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। আর এ কারণেই, জেনারেল সফিউল্লাহকে দ্বিতীয় দফায় সেনা বাহিনীর প্রধান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে জিয়া পদত্যাগ করতে চাইলে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী নুরুল ইসলাম চৌধুরীকে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে বলেছিলেন। প্রয়াত নুরুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৯৪ সালের ২৬ মার্চ দৈনিক আজাদী পত্রিকার ‘নৃশংস পনেরই আগস্টের পূর্বাপর’ শীর্ষক এক নিবন্ধে এই তথ্য প্রকাশ করেন। নুরুল ইসলাম চৌধুরী লেখেন ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের নৃশংস ঘটনার কয়েকদিন আগে জেনারেল সফিউল্লাহকে দ্বিতীয় দফায় সেনা বাহিনীর প্রধান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে জিয়াউর রহমান তার সঙ্গে দেখা করে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করার কথা জানান। নুরুল ইসলাম এই ঘটনা বঙ্গবন্ধুর কাছে জানালে তিনি জিয়াকে একজন উচ্চাভিলাষী ও ধৈর্যহীন ব্যক্তি বলে উল্লেখ করেন এবং জিয়ার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করতে বলেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ১৯৭৫ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে তার পদত্যাগ পত্র গৃহীত হত।

জিয়াউর রহমানের ক্ষিপ্ততা সম্পর্কে নিবন্ধে আরো বলা হয়, বাকশালের সদস্যপদ না পেয়ে এবং জেনারেল সফিউল্লাহকে সেনা বাহিনীর প্রধান করায় জিয়া ক্রমেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কাছে নানা অসন্তোষের কথা জানান। নুরুল ইসলাম চৌধুরী তার নিবন্ধে বলেন, ‘স্বাধীনতা লাভের পরে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসাবে নাখালপাড়া সংসদ সদস্য হোষ্টেলে ১৯৭২ সালে আমাকে প্রায় ৭/৮ মাস থাকতে হয়। তখন জেনারেল জিয়া আমার হেষ্টেলে চা পানের মাধ্যমে অনেক আলোচনাই করতেন। জিয়া দুঃখ করতেন তার কার্যকলাপের সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। জিয়া নাকি জনাব সফিউল্লাহর ব্যাচমেট হিসেবে উপরের দিকে ছিলেন এবং এই আইনত সেনাবাহিনী প্রধানের বাহিনীর পদটি তার পাওয়া উচিত ছিল।’

নিবন্ধে নুরুল ইসলাম চৌধুরী আরো বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে জিয়ার পদত্যাগের ইচ্ছা ব্যক্ত করলাম। বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে আমাকে বললেন, তুমি এখনই তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আমার কাছে পাঠিয়ে দাও। তুমি জানো না জিয়া অত্যন্ত উচ্চাভিলাসী। ও আরও অনেককে দিয়ে বাকশালের সদস্য হবার জন্য আমার কাছে সুপারিশ করেছে। সে ধৈর্য ধরতে জানে না। আমি বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদেরই সদস্য করেছি। পরে তাকেও হয়তো করবো।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Masum Akter ১৩ আগস্ট, ২০২০, ১:৫৮ এএম says : 0
ওরে ইতিহাসের বিকৃতি, একটা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করা মানে সে দেশকে রেপ করা
Total Reply(0)
মোঃ মোস্তফা কামাল ১৩ আগস্ট, ২০২০, ১:৫৮ এএম says : 0
নতুন নতুন ইতিহাস পয়দা হয়
Total Reply(0)
MD Suzan Shekh ১৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০০ এএম says : 0
সব বানোয়াট কথা,ক্ষমাতাই থাকলে কত কিছু বাহির হয়। এর আগে ১৫ আগষ্ট অনেক গেছে তখন তো বলেন নাই,
Total Reply(0)
Shaharia Sajeeb ১৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০০ এএম says : 0
গুজবে কান দিবেনা
Total Reply(0)
কামরুজ্জামান হাওলাদার ১৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০১ এএম says : 0
নতুন করে ইতিহাস শিখুন সবাই। ইতিহাস রচইতাদের Award দেওয় হোক।
Total Reply(0)
M Shamsuddin ১৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০১ এএম says : 0
ইদানীং আজেবাজে খবর গুলো পড়লেই পত্রিকা পড়তে মন চাইনা।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ১৩ আগস্ট, ২০২০, ১১:৫৬ পিএম says : 0
১৯৯৪ সালের ২৬ মার্চ দৈনিক আজাদী পত্রিকায় প্রয়াত নুরুল ইসলাম চৌধুরী যিনি বঙ্গবন্ধুর কেবিনেটের সদস্য ছিলেন তাও আবার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসাবে তিনি লিখেছিলেন কাজেই তাঁর এই লিখা ‘নৃশংস পনেরই আগস্টের পূর্বাপর’ নিবন্ধ অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য ঐতিহাসিক লিখা। এই লিখা অনুযায়ী জিয়ার কর্যকলাপ আগেই ফুটে উঠেছিল তারপরও তাঁর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি সেজন্যেই জিয়া মিয়া প্রচুর সুযোগ পেয়েছিলেন এবং কৃতকার্য হয়েছিলেন। এখন এটাই আমাদেরকে মানতে হবে সেটা হচ্ছে আল্লাহ্‌ সবই জানেন তবে তিনি নিজ থেকে কোন কিছু করেননা যতক্ষন পর্যন্ত না আমরা ওনার সাহায্য কামনা না করি।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন