বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩জনসহ ৫জন নিহত

উলিপুরে নিহতের বাড়িতে শোকের মাতম

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২০, ৭:৪৩ পিএম

কুড়িগ্রামে সড়ক দূর্ঘটনায় সমাজসেবা অফিসের প্রশিক্ষকের পরিবারের ৩জনসহ ৫জন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহতদের লাশ বৃহস্পতিবার (১৩ আগষ্ট) বিকালে উলিপুরস্থ বাস ভবনে পৌছিলে এক হৃদয় বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। নিহতদের মরদেহ একনজর দেখতে ছুটে আসেন এলাকার শত-শত নারী পুরুষ। এ সময় স্বজনদের কান্না ও আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
নিহতদের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী জেলার সমাজ সেবা অফিসের কারিগরি প্রশিক্ষক (পোল্ট্রি এন্ড গার্ডেনিং) ট্রেড এ কর্মরত মজিবর রহমান ওরফে আকবর হোসেন, স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েসহ প্রাইভেটকার যোগে উলিপুরস্থ বাড়িতে আসছিলেন। পথিমধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের আরডিআরএস বাজার সংলগ্ন কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কে চিলমারী-সাতক্ষীরা গামী বিআরটিসি বাসের সঙ্গে ওই প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো-গ-২৫-৯৫৯৫) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলই প্রাইভেটকার চালক নরসিংদী জেলার মনহরদি পৌরসভার চক মাধবদি গ্রামের সায়েদ আলীর পুত্র সোহেল মিয়া (৩৫) নিহত হন। এ সময় গুরুত্বর আহত অবস্থায় কারের যাত্রী মজিবর রহমান ওরফে আকবর হোসেন (৫৭), স্ত্রী বিলকিস বেগম (৪৫), ছেলে বেলাল হোসেন বায়জিদ (১৫) কে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে আনা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত হন মেয়ে আশামনি (৭) ও ড্রাইভারের সহযোগি ওয়াসিম (১৪)। পরে তাদের দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথেই ওয়াসিমের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ারুল ইসলাম। এদিকে ওই পরিবারের একমাত্র জীবিত শিশু আশামনি আশংকামুক্ত নন বলে তার চাচাতো ভাই মারুফ হোসেন জানিয়েছেন। নিহত মজিবর রহমান ওরফে আকবর হোসেন উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই মাষ্টারপাড়া গ্রামের আমান উল্লা শেখের পুত্র।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের সময় ছুটি না পাওয়ায় বাড়িতে আসা হয়নি মজিবর রহমানের। বর্তমান সময়ে তিনি ছুটি পেয়ে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকালে নিহতের বাড়িতে গেলে এলাকার অনেকেই জানান, মজিবর রহমান একজন ধার্মিক মানুষ ছিলেন। তিনি মসজিদ, হাফেজি মাদ্রাসা, কবরস্থান, এলাকার কাঁচা রাস্তা সংস্কারসহ বিভিন্নভাবে সামাজিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করে আসছিলেন। পরিবারসহ তার এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাবাসী শোকাহত হয়ে পড়েছেন। পরে নিহত ৩জনকে ওই দিন বিকাল ৬টায় সরকার বাড়ি জামে মসজিদের সামনে নামাজে জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন