শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জৌলুশ হারাচ্ছে রক্তদহ বিলের ঐতিহ্য

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে রক্তদহ বিলের ঐতিহ্য। এই বিলে দেশীয় মাছের সুনাম থাকলেও কালের পরিক্রমায় তা হারিয়ে যেতে বসেছে। এছাড়া দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে বিলের চারেপাশের জমি। প্রভাবশালীদের দখলে বিলের পাশে সরকারি জমিতে তৈরি হচ্ছে স্থাপনা। এক সময়ের মৎস ভান্ডার খ্যাত রক্তদহ বিল তার জৌলুশ হারিয়ে যেতে বসেছে। এই বিলের মাছ দিয়ে নওগাঁর রাণীনগর, আদমদীঘি, সান্তাহার শহর ও আশপাশ এলাকার চাহিদা মেটানোর পর উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলাসহ রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যেত মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কালের পরিক্রমায় ভরা মৌসুমে ও এলাকায় মাছের আকাল দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ হিসাবে এলাকাবাসীরা জানান, কারেন্ট সুতি ও নেট জালের ব্যবহার। বিল এবং আশপাশের জেলে পরিবার ও মৎস্য শিকারীরা কারেন্ট জাল সুতি ও মশারি নেটজাল দিয়ে অবাধে সব ধরনের মাছ ধরে বিভিন্ন হাট বাজারে অবাধে বিক্রি করছে। 

আদমদীঘি উপজেলা মৎস্য অধিদফতর ও সান্তাহার প্লাবন ভূমি উপকেন্দ্রের উদ্যোগে দেশীয়সহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ এ বিলে অবমুক্ত করা হয়। আর এই অবমুক্ত করা মাছগুলো বড় না হতেই ধরা পরে জেলেদের জালে।
স্থানীয়রা বলছেন মাছের বংশবৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণসহ সবধরনের মাছ চাষের জন্য বিলটি সান্তাহার প্লাবন ভূমি উপকেন্দ্রের আওতায় দেয়া হোক। এতে একদিকে জেলেদের ছোট মাছ ধরা বন্ধ হবে অন্যদিকে এখানে মাছ উৎপাদনে বিপ্লব ঘটবে। সান্তাহার প্লাবন ভূমি উপকেন্দ্রের প্রধান ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ডেভিড রিন্টু দাস বলেন, সান্তাহার ও আদমদীঘির মাটি ও পানি রেণু এবং পোনা উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত। এখান থেকেই উৎপাদিত রেনু পোনা সারাদেশে সরবরাহ হয়। তিনি আরোও বলেন, এই বিল সংস্কার করে দেশী প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়া মাছসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন সম্ভব। এখানকার উৎপাদিত মাছ দিয়ে দেশের অর্ধেক চাহিদা মেটানো যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন