যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে হতাহতের ঘটনা দুই গ্রুপের সংঘর্ষ না একপাক্ষিক তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম বলেছেন, তদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনা কেন সন্ধ্যায় হতাহতদের হাসপাতালে পাঠানো হলো-এর জবাব দিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। তবে একটি সূত্র বলছে, কর্তৃপক্ষের সাথে কথাকাটাকাটির জের ধরে সেখানকার কর্তব্যরতরা বেধড়ক পিটায় দফায় দফায়। আহত হয় প্রায় ২০জন কিশোর। তার মধ্যে বিনা চিকিৎসায় মারা যায় খুলনা দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়ার পুত্র পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮), বগুড়া শেরপুরের মহিপুর গ্রামের নূর ইসলাম নুরু মিয়ার পুত্র রাসেল ওরফে সুজন (১৮) ও বগুড়া শিবগঞ্জ থানার তালিপপুর গ্রামের নানু প্রামানিকের পুত্র নাঈম হোসেন (১৭)।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, নিহত কিশোরদের পরিবার আজ যশোর আসছেন। তারা কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনে অভিযোগ দেবেন।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে মারামারিতে তিন কিশোর নিহত হয়েছে। পাভেল গ্রæপ ও রবিউল গ্রæপের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মারা,ারি হয়। তাতে হতাহত হয়। ৩জন নিহত ছাড়াও ১৪জন গুরুতর আহত হওয়ার বিষয়টি টানা ৫ঘন্টা চেপে রাখা হয়।
এর আগেও কেন্দ্রে খাবার না দেয়া ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে কর্তব্যরতরা কিশোরদের পিটিয়েছে। ঘটনার পর কেন্দ্রের তত্ত¡াবধায়ক আবদুল্লাহ আল মাসুদ মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। মোবাইল বন্ধ রেখে ঘটনা চাপা দিতে পারেননি তিনি। ২টার ঘটনা দেরিতে হলেও কিন্তু ঠিকই প্রশাসন ও মিডিয়া কর্মীরা জেনে গেছেন।
দুপুরের ঘটনা দীর্ঘসময় কেন পুলিশকে অবহিত করেননি এই প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই রহস্য লুকিয়ে আছে। সকালে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে শুনশান নিরবতা। গেট থেকে কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রে আনসার বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা দায়িত্ব পালন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন