গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) থেকে চুরি হওয়া ৪৯ টি কম্পিউটারের মধ্যে ঢাকা থেকে পুলিশ ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দু’ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এরা হলো ময়মনসিংহ জেলার চোরখাই গ্রামের মইজউদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন (৩৬) ও কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ইদারচর গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে দুলাল (৩৫)।
গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকার বনানী থানা ও গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ মহাখালীর জিসার ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের একটি কক্ষে যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার করে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আটক ওই দু’ জন এ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান লাচ্চু শরীফের ভাই পলাশ শরীফ সহ একটি চক্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারনা করা হচ্ছে। পালাশকে গ্রেফতারের জন্য কয়েক দফা অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু সে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে পারলে এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটিত হবে বলে আমরা ধারনা করছি।
ঢাকার বনানী থানার ওসি নুরে আজম মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার মহাখালীর ওই হোটেল থেকে ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়। গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবি থেকে চুরি হওয়া ৪৯টি কম্পিউটারের থেকেই ৩৪টি কম্পিউটার ওই হোটেলে আনা হয়েছে বলে গোপান সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান বলেন, কম্পিউটার চুরির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠির ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। কম্পিউটার চুরির কাজে জড়িত দুর্বৃত্তরা যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন সেটা খুঁজে বের করা হবে। আশা করি দ্রæতই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেস ড. নূর উদ্দিন আহমেদ জানান, ঈদের ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর পেছন দিকের জানালা ভেঙ্গে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপরে গত ১০ আগস্ট তিনি বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে ঢাকা থেকে ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে ২০১৮ সালে ৪৭ টি ও ২০১৮ সালে ৫০টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন