বিদেশিকর্মী নিয়োগের জন্য যে বিধিনিষেধ মালয়েশিয়া সরকার দিয়েছিল তা তুলে নেওয়া হচ্ছে। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এমনটি বলা হয়েছে। এর আগে করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশীয় শ্রমিকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল কুয়ালালামপুর। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, এমন কিছু মালিক রয়েছেন যারা দাবি করছেন যে এখনো তাদের বিদেশি শ্রমিক দরকার। তাদের অনুরোধের ভিত্তিতে সরকার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে মালিকদের আগে দেশীয় নাগরিকদের মধ্যে থেকে শ্রমিক নিয়োগ করে তারপর প্রয়োজনে বিদেশি শ্রমিকদের পুনঃনিয়োগের অনুরোধ করেছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী। মালয়েশিয়া সরকারের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ২১ লাখ বিদেশি শ্রমিক কাজ করেন। করোনা মহামারির মধ্যে গত জুলাইয়ে ৬৭ হাজার স্থানীয় নাগরিক এবং ৪ হাজার ৭০০ বিদেশি শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন বলে মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। অপর দিকে, করোনার কারণে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতেও। ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ধস নেমেছে দেশটির অর্থনীতিতে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তথা এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত আগের অর্থ বছরের ঠিক এই সময়ের তুলনায় মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ১৭.১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে উঠে এসেছে। ২০০৯ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা ভাবের এই প্রথম অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব দেখল মালয়েশিয়া। বিশ্ব মন্দার ১১ বছর আগে এশিয়ান অর্থনীতিকে অস্থিরতার সময় এর চেয়ে বেশি সংকুচিত হয়েছিল এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ দেশটির অর্থনীতি। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান নুর শামসিয়াহ মোহামাদ ইউনুস জানান, “একটা সম্ভাবনা নিয়েই আমরা দ্বিতীয় প্রান্তিক পার করেছি। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে।...আমার মনে হয়, সর্বোচ্চ বাজে অবস্থটা আমরা পেছনে ফেলে এসেছি।” মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পের ওপরই বহুলাংশে নির্ভরশীল। দেশটির অর্থনীতিকে সবচেয়ে বড় অবদান পাম ওয়েল, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন