খুব শিগগিরি আরো গতিশীল হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবন্দর মংলা। খুলনা-মংলা নির্মাণাধীন রেললাইন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্যের নতুন নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হবে। এতে সার্ক মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট স্থাপনের মাধ্যমে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে মালামাল আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
অপরদিকে, বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট অনেকটা নিরাপদ হবে। সুন্দরবনে দেশি-বিদেশি পর্যটক যাতায়াত সহজ হবে। তাছাড়া সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য প্রসারের ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্য সচেতনতা, দরিদ্রতা হ্রাস, শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এতে একদিকে সরকারের রাজস্ব বাড়বে অন্যদিকে খুলনাঞ্চল হয়ে ওঠবে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন। সংশ্লিষ্ট অর্থনীতিবিদরা এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সূত্র মতে, মূল অনুমোদিত প্রকল্পটি ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ছিল। পরে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। অগ্রগতি না হওয়ায় ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত দ্বিতীয়বার মেয়াদ বাড়ানো হয়। তৃতীয়বার আরো দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। বর্তমানে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ভারতীয় ঋণ (এলওসি) আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল এক হাজার ৭২১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৫১৯ কোটি ৮ লাখ টাকা, ভারতীয় ঋণ থেকে এক হাজার ২২২ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ের কথা। প্রকল্প সংশোধনের মাধ্যমে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় তিন হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এক্ষেত্রে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ৪৩০ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণের দুই হাজার ৩৭১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রকল্পটির মোট ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১২০.৮৫ শতাংশ।
বর্তমানে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৬৩.০১ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৫.৫৪ শতাংশ। করোনায় প্রকল্পের কাজ থমকে আছে।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে সরকারের খুলনা অঞ্চলের কাছে দেয়া নির্বাচনী ইস্তেহারে অনেক প্রতিশ্রুতিই অনেকাংশে বাস্তবায়িত হবে। খুলনা মংলা তথা দেশের সাথে রেল নেটওয়ার্ক সৃষ্টি হবে। আর রূপসা রেল সেতুটি হবে প্রকল্পের অন্যতম আকর্ষণ। অর্থাৎ এটি হবে দেশের দীর্ঘতম রেল সেতু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন