শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সোমবার থেকে খুলছে কক্সবাজারের হোটেল-বিনোদন কেন্দ্র, চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০২০, ৩:৪৪ পিএম

করোনা সঙ্কটে দীর্ঘ প্রায় ৫মাস বন্ধ থাকার পর আগামী (১৭ আগষ্ট) সোমবার থেকে সীমিত আকারে পরীক্ষামূলকভাবে খুলে দেওয়া হচ্ছে

কক্সবাজারের হোটেল, মোটেল, কটেজ, রেস্টুরেন্টসহ পর্যটন এলাকার বিনোদন কেন্দ্রগুলো।

তবে প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র কক্সবাজার পৌর এলাকার পর্যটন সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান সমুহ খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট কক্সবাজার জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির জুম কনফারেন্স সভায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন পর্যটন সংশ্লিষ্ট হোটেল ও বিনোদন কেন্দ্রসমুহ খুলে দেওয়ার এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

ওই কনফারেন্সে কক্সবাজারে কোভিড-১৯ এর সার্বিক সমন্বয় এর দায়িত্বরত স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব-উপসচিব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের প্রতিনিধি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেছেন, জেলার পর্যটন শিল্পের সাথে বিভিন্নভাবে প্রায় ২লক্ষ লোকের জীবন জীবিকা জড়িত। তাদের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে সীমিত আকারে পর্যটন সংশ্লিষ্ট হোটেল- বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থবিধি কঠোরভাবে মেনে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার শর্তে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান খুলার সিদ্ধান্ত হয়েছে ।

সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেনে চলতে হবে, এ বিষয়ে প্রণীত কর্মপন্থার সকল নিয়মাবলি। এ বিষয়ে স্টেক হোল্ডারসহ কক্সবাজারে পর্যটনশিল্পের সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। পর্যটন শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে এবং আগত পর্যটকদের যে কোন অবস্থাতেই বাধ্যতামুলকভাবে স্বাস্থ্য বিধি মানতে
হবে। তারপরও কেউ স্বাস্থ্য বিধি লঙ্গন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। এজন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সার্বক্ষনিক তদারকি থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।

পর্যটন শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে উখিয়া-টেকনাফের পর্যটন শিল্পও খুলে দেওয়ার অনুরোধ কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছে এসেছে-সে ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, কক্সবাজার পৌর এলাকায় পর্যটন শিল্প সীমিত আকারে খোলা থাকাবস্থায় কোভিড-১৯ এর সংক্রামণের মাত্রা ও গতি প্রকৃতি পর্যবেক্ষন করে পর্যটন শিল্পের উম্মুক্ত এলাকা আরো উন্মুক্ত ও সম্প্রসারিত করা বা সংকুচিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস পর সীমিত আকারে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে কক্সবাজারের হোটেল, মোটেল, কটেজ, রেস্টুরেন্ট, ক্ষুদে, ভাসমান ব্যবসায়ী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে প্রস্তুতির ধুম পড়ে গেছে। ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য। নিচ্ছেন, স্বাস্থ্য বিধির আলোকে বিভিন্ন ব্যবস্থা। মনে করা হচ্ছে আবার ফিরে আসছে, কক্সবাজারের কোলাহলময় ঐতিহ্যবাহী পর্যটন শিল্পের আসল রূপ।

এদিকে লকডাউন শিথিল হওয়া এবং হোটেল- বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত বিবেচনাধীন থাকলেও ঈদুল আজহার পর থেকে
কক্সবাজারে হাজার হাজার পর্যটক আসা শুরু করেছে। আগামী অক্টোবর থেকে কক্সবাজারে পর্যটন মওসুম শুরু হওয়ার মাস দেড়েক আগে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প উম্মুক্ত করে দেওয়ায় পর্যটন শিল্প উদ্যোক্তারা বেশ খুশি। তারা আসন্ন পর্যটন মওসুমের জন্য সময় নিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিতে পারবেন বলে জানান কয়েকজন হোটেল- মোটেল মালিক।

এছাড়া, কক্সবাজার জেলা টুরিস্ট পুলিশও পর্যটক এবং পর্যটক শিল্পের সার্বিক নিরাপত্তায় বেশ প্রস্ততি নিয়েছেন বলে জানা গেছে। কক্সবাজার বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি, রেসকিউ টিম গুলো সহ সংশ্লিষ্ট সকলে তাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিশ্চিত করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন