নাগা স্বাধীনতা ঘোষণার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার নাগা জনগণের উদ্দেশ্যে এক বক্তব্যে এনএসসিএন (আইএম) নেতা থুইঙ্গালেং মুইভা বলেছেন, নাগারা কখনো ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে না। তবে সার্বভৌম শক্তি হিসেবে সহাবস্থান করবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে মিয়ানমার, নাগাল্যান্ড থেকে ব্যাঙ্গালোর পর্যন্ত সবখানে নাগারা স্বাধীনতা দিবস ঘোষণার বার্ষিকী উদযাপন করছে এবং নাগা জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছে। নাগা নেতা তার বক্তব্যে নয়া দিল্লীর সঙ্গে আলোচনা চলার কথাও উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে কেন্দ্রের সঙ্গে যে আলোচনা চলছে তাতে ১৯৫৬ সালের ২২ মার্চ প্রথম উড়ানো রংধনু ও ছয়-কোণ ডেভিড-স্টার আঁকা নাগা জাতীয় পতাকা ও নাগাদের জন্য আলাদা সংবিধান হলো গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইস্যু। মুইভা তার বক্তব্যে বলেন, আমরা ভারত সরকারের কাছে নাগা জাতীয় পতাকা ও সংবিধান চাইনি। সেগুলো স্বীকৃতি দেয়া হোক বা না হোক, আমাদের নিজস্ব পতাকা ও সংবিধান রয়েছে। এগুলো আমাদের স্বীকৃত সার্বভৌম সত্তা এবং নাগা রাষ্ট্রত্বের প্রতীক। নাগারা তাদের পতাকা ও সংবিধান সমুন্নত রাখবে। নাগাদের অনন্য ইতিহাসের অবস্থান থেকে ভারত সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার নেতৃত্বে নাগা আলোচক দলের দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার কথা উল্লেখ করে মুইভা বলেন, নাগাদের যে একটি আলাদা ইতিহাস আছে সেটা ভারতীয় নেতাদের বুঝাতে ও স্বীকার করাতে অনেক সময় লেগেছে। নাগারা কখনো ভারত ইউনিয়ন বা বার্মার সঙ্গে ছিলো না, এটাও তারা ভালো করে জানে। তিনি উল্লেখ করেন যে, ১৯৫০ সালে ভারতের সাংবিধানিক পরিষদ নাগাদের প্রতি ভারত ইউনিয়নে যোগদানের আমন্ত্রণ জানায়। কিন্তু নাগা জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করে। এই ঐতিহাসিক সত্য আরো দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালের গণভোটে। তাতে ৯৯.৯ নাগা স্বাধীন নাগালিম রাজ্যের পক্ষে ভোট দিয়েছিলো। আজকের প্রবীণদের স্মৃতিতে এখনো সেই ঘটনা তাজা অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট ভারত সরকারের সঙ্গে যে কাঠামো চুক্তি সই হয় তাতে ‘নাগাদের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করা হয়েছে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, সার্বভৌম ক্ষমতার অংশীদার দুটি সত্তার অন্তর্ভুক্তিমূলক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। শুক্রবার দিনটিকে নাগারা স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে এবং পরস্পরকে অভিনন্দন জানায়। টিএনএন, এসএএম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন