বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দক্ষিণ-পশ্চিমের অধিকাংশ সড়কের কাহিল অবস্থা

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

বর্ষায় সড়ক-মহাসড়কে পানি জমে প্রতিবছরই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এবারও তাই হয়েছে। বর্ষার আগে ভালোভাবে ভাঙাচুরা ও ক্ষত মেরামত করা হলে অবস্থা এতো কাহিল হতো না। শুধু পুরানো রাস্তা নয়, নতুন রাস্তাও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একই চিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল. বাণিজ্যনগরী যশোর, শিল্পনগরী খুলনা ও কৃষি শিল্প ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধ ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া সড়কের।
যশোরের বিশিষ্ট ঠিকাদার শওকত আলী লিপু বলেন, সড়কে একটু পানি জমলেই পিচ ওঠে গর্ত হয়ে যায়। পানি জমার সাথে সাথে দ্রুত সরানো কিংবা সমান্য গর্তেই তা মেরামত করা হলে বড় গর্ত হওয়ার সুযোগ থাকতো না। তার কথা, সড়ক-মহাসড়ক নিয়মিত তদারকি, মেরামত করা হলে সাধারণত বিগ বাজেটের বরাদ্দ দিয়ে নতুন করে খুঁড়ে রাস্তা তৈরি করতে হতো না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যশোর-খুলনা মহাসড়ক নির্মাণের বছর না যেতেই ৩ শতাধিক কোটি টাকার রাস্তায় ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বেনাপোল সড়কের নাভারণ থেকে বেনাপোল চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেনাপোল সড়কটি যশোর শহরের দড়াটানা মোড় থেকে শুরু হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ড পর্যন্ত যাবে। এর ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে ৩২৮ কোটি টাকা। সড়কটি ২৪ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নীত করা হচ্ছে। এই সড়ক নির্মাণে দেয়া হচ্ছে গোজামিল। এ অভিযোগ স্থানীয়দের।

যশোর সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন খুলনা মহাসড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই খানাখন্দ কেন এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, নতুন রাস্তা কয়েক জায়গায় কেন ডেবে গেল তার কারণ উদঘাটনে একজন পরামর্শক নিযুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। তার বক্তব্য, ওভারলোডের কারণেই মূলত রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশই সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। চলাচল করা দায়। ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জ, কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ, এরকম বিভিন্ন সড়কে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যান চলাচল খুবই কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জ সড়কে নির্মাণ কাজের সময় অভিযোগ উঠেছিল নিম্নমানের ইট বালু ব্যবহারে। কিন্তু সড়ক বিভাগ বিষয়টি আমলে নেয়নি। উপরন্তু ঠিকাদারের সাথে যোগসাজস করে সড়ক নির্মাণ কাজ দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ওভারলুক করেছেন বলে অভিযোগ আছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ঝিনাইদহের হামদহ বাসস্টান্ডে পর থেকে লাউদিয়া, চুটলিয়া, তেতুলতলা, বিষয়খালী, ছালাভরা, নিমতলা বাসস্টান্ড, মেইন বাসস্টান্ড এলাকায় বিটুমিন (পিচ) আর পাথর ওঠে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কালীগঞ্জের ট্রাক চালক মোতালেব জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগ হচ্ছে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়ক।

যশোর, খুলনা এলাকা, মংলা বন্দর, শিল্পশহর নওয়াপাড়া, বেনাপোল বন্দর, দর্শনা ও ভোমরা থেকে আমদানি-রফতানী পণ্যবাহী ট্রাক ও গোটা এলাকার যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য যান চলাচল যশোর-খুলনা-কুষ্টিয়া সড়ক দিয়েই। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা, রাজশাহী, ফরিদপুর, উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যাত্রীবাহী বাসসহ পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন