মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগামী ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে বিজয় লাভ করলে চীন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবং ভারতের পক্ষে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন।
বাইডেন বলেছেন, ‘আমেরিকা আর ভারতের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে যা সময়ের সঙ্গে আরও মজবুত হয়েছে।’ তার প্রচার দলের তরফে আগেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় ফিরলে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার দিকে নজর দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউজে প্রশাসনিক সঙ্গী বা ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারতের বংশোদ্ভূত মার্কিন নারী কমলা হ্যারিসকে বেছে নিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্লাক-ইন্ডিয়ান আমেরিকান বা কৃষ্ণাঙ্গ-ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নারী হিসেবে হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন কমলা। এতে বাইডেন ভারতের প্রতি সুনজর দিচ্ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আগামী ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে এখন মুখোমুখি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট। অন্যপক্ষে লড়বেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস।
এদিকে জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ট্রাম্পের জন্য এইচ-১ বি ভিসা নীতিতে যে প্রভাব পড়েছে, তাতে তিনি বদল আনবেনই। বাইডেনের কথায়, ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উপরে আমার সরকার ভরসা রাখতে চায়। তাদের সঙ্গে নিয়েই সরকার চালাব, কথা দিচ্ছি।’
একই সঙ্গে গতকাল কারো নাম উল্লেখ না করে পাকিস্তান আর চীনের প্রসঙ্গও টেনেছেন বাইডেন। বলেছেন, ‘নয়াদিল্লিকে তাদেরই সীমান্ত এলাকায় যে সব বিরুদ্ধ শক্তি ভয় দেখায়, আমরা ক্ষমতায় ফিরলে তার বিরুদ্ধেও লড়ব। সব সময় সব ক্ষেত্রে ভারতের পাশে দাঁড়াব।’
এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, কমলা হ্যারিসের কারণে প্রবাসী ভারতীয়দের একটা বড় অংশ উচ্ছ্বসিত। হ্যারিস আমেরিকায় জন্মালেও তার মা ছিলেন খাঁটি ভারতীয়। আর নিজের সেই শিকড় তাদের দুই বোনের মধ্যে গভীরভাবে গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছেন তার মা, শ্যামলা গোপালন।
ভারতের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন কমলা হ্যারিস। ভারতের মানুষকে ‘আওয়ার পিপল’ বলেও সম্বোধন করতে শোনা গেল তাকে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হলে সুবিধা পাবেন আমেরিকায় অবস্থানরত ভারতীয়রা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন