এক রাতের মধ্যেই আমেরিকার সিনসিনাটি শহরের একাধিক জায়গায় চলল গুলি। যার জেরে আহত হলেন ১৮ জন, তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। শনিবার গভীর রাত থেকে রোববার ভোরের মধ্যে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের প্রাথমিক দাবি, প্রতিটি ঘটনাই বিচ্ছিন্ন। তবে কোনও বন্দুকবাজ এই হামলা চালিয়েছে, নাকি অন্য কোনও কারণে এতজন গুলিবিদ্ধ হলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রথম গুলি চালানোর খবর আসে অ্যাভোনডেল এলাকা থেকে। সেখানে ২১ বছর বয়সি অ্যান্টোনিও ব্লেয়ার নামে এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। একই জায়গা থেকে গুলির আঘাত নিয়ে আহত অবস্থায় আরও তিন জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। রাত ২:৩০ নাগাদ ফের একবার ওভার দ্য রাইন এলাকা থেকে গুলি চালানোর খবর আসে। সেখানে আহত হন ১০ জন। তাদের মধ্যে একজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়, আর একজন মারা যান হাসপাতালে। মৃত দুই যুবকের বয়স ৩৪ এবং ৩০ বছর।
এর পাশাপাশি শহরের ওয়ালনাট হিলস এলাকাতেও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এর পাশাপাশি পশ্চিম প্রান্ত থেকেও রোববার ভোরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। সেখানেও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি ঘটনাই এক থেকে দেড় ঘণ্টা অন্তর ঘটেছে। যদিও শহরের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার পল নিউজিগেট দাবি করেছেন, প্রতিটি ঘটনাই বিচ্ছিন্ন এবং পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলেই তারা মনে করছেন। তবে কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী, সে বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে অন্ধকারেই পুলিশ। শহরের মেয়র জন ক্র্যানলি স্বীকার করে নিয়েছে, শহরের বাসিন্দাদের কাছে বন্দুক বা আগ্নেয়াস্ত্র রাখাটা অত্যন্ত সহজলভ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা মহামারির জন্য এখন পানশালাগুলি বন্ধ। ফলে নিজেদের বাড়িতে বা ব্যক্তিগত জায়গাতেই পার্টি করার জন্য নিয়মিত জড়ো হচ্ছেন অনেকে। সেখানেই এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে বলে অনুমান তার। ফলে আপাতত এই ধরনের পার্টিতে গিয়ে নিজেদের প্রাণ সংশয় না করার জন্য শহরবাসীর কাছে অনুরোধ করেছেন তিনি।
এদিকে কারা এ বন্দুক হামলা ঘটিয়েছে সেসম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি পুলিশ। কোনো ঘটনাতেই সন্দেহভাজন কাউকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন