শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

পাঁচ মাস পরও সেই আগের তামিম

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

 

সেই মার্চ মাসে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সব শেষবার ব্যাটিং করেছিলেন তামিম ইকবাল। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্থবির হয়ে পড়া সময়ে এরপর করতে পারেননি অনুশীলনও। বাড়িতে ফিটনেসের কাজ চলেছে পুরোদমে, কিন্তু ব্যাটিংটা আর করা হচ্ছিল না। এত লম্বা সময় ব্যাট না ধরলে কিছুটা জড়তা চলে আসা স্বাভাবিক। কিন্তু তামিম নাকি তেমন কিছুই অনুভব করেননি।
লম্বা বিরতির পর গতপরশু থেকে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। শুরুর দিনই হাতে নেন ব্যাট, ইনডোরে বোলিং মেশিনে চালিয়েছেন অনুশীলন। বিসিবির ঠিক করে দেওয়া সময়ে সোমবারও ১১টায় মাঠে আসেন তিনি। শ্রীলঙ্কা সফর সামনে রেখে চালান আগের দিনের মতই প্রস্তুতি।
করোনার সময় গৃহবন্দি থাকা এবং পরে পেটের পীড়ায় চিকিৎসা নিতে লন্ডনে গিয়েছিলেন তামিম। মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েসরা অনুশীলনে নেমেছিলেন ঈদের আগে থেকে, ঈদ পরই তাতে যোগ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকারসহ অনেকেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজস্ব ঝুঁকিতে অনুশীলন শুরুর পর সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে তামিমই নামলেন সবার পরে। তবে তাতে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না তার। ফিটনেস ঠিক থাকায় আর ব্যাট করতে গিয়ে জড়তা না থাকায় ফুরফুরে বাংলাদেশের হয়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশির রানের মালিক, ‘আসলে অনেক দিন পর ব্যাটিং শুরু করলাম, প্রায় চার-পাঁচ মাস পর। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে যতটা জড়তা থাকবে মনে করেছিলাম, অবাক করা ব্যাপার অতোটা খারাপ অবস্থা না আমার। ব্যাটিংটা মোটামুটি ঠিকই আছে। ফিটনেসের দিক থেকেও ভাল আছে অবস্থা।’
এতদিন ফিটনেসের কাজটা ছায়ার মধ্যেই করতে পেরেছেন ক্রিকেটাররা। মাসায় ট্রেডমিলে দৌড়ে ঠেকার কাজ চললেও মাঠে রোদের মধ্যে দৌড়ানো ভিন্ন ব্যাপার। এই জায়গায় মানিয়ে নিতে সপ্তাহখানেক দরকার মনে হচ্ছে তামিমের। তবে বাসায় বসে থাকার সময়ে মনস্তাত্তি¡ক শক্তি ঠিক রাখতে কিছু সেশন করেছেন তামিম। শ্রীলঙ্কা সফরে যেটা কাজে লাগিয়ে ভালো সুযোগ দেখছেন তিনি, ‘বিসিবি কিছু সেশন ঠিক করে দিয়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে আমিও দুই তিনটা সেশন করেছিলাম। আমার কাছে মনে হয় সেটা অবশ্যই সাহায্য করেছে। যেটা বললাম চার মাস সহজ ছিল না। কিন্তু আমাদের নিশ্চিত করতে হবে ওখান থেকে বের হয়ে এসে যত তাড়াতাড়ি আমরা মানসিকভাবে ভাল অবস্থাই যাই কারণ আমাদের বেশ বড় একটা ট্যুর আছে সামনে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের বেশ ভালো সুযোগ আছে তাতে। ’
বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জানালেন, লম্বা ছুটিতে থাকলেও এবারের ছুটিটা থেকে নিস্তার পেতেই যেন উদগ্রীব ছিলেন সবাই, ‘পরিবারের সঙ্গে ছিলাম। একটা মানসিক চাপে পড়ে যাচ্ছিলাম সবাই। বাসা থেকে বেরুতে পারছিলাম না। স্বাভাবিক তো ছিল না। একটা ট্যুর থেকে এসে যেমন ৭-৮ দিন ছুটি পাই, তখন যেকোনো জায়গায় যেতে পারি। এই চারটা মাস ভিন্নরকম। স্বাস্থ্য নিয়ে সবার চিন্তা ছিল, পরিবারের মানুষ নিয়ে চিন্তা ছিল। অবশেষে যেটা আমরা সবচেয়ে পছন্দ করি- খেলাধুলা। সেটা করতে পারছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন