মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে যে দিন টেকনাফ থানার পুলিশ গুলি করে হত্যা করে, একই দিন প্রবাসীসহ দুই ব্যক্তিকে চকরিয়া থানার পুলিশ পটিয়া থেকে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রবাসীর মামা আহমদ নবী বাদী হয়ে চকরিয়া থানার ওসিসহ দুই পুলিশের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের কথা মৌজা গ্রামের মো. আবদুল আজিজের পুত্র মো. জাফর দীর্ঘদিন ওমান ছিলেন। করোনাভাইরাস শুরুর আগে ওমান থেকে জাফর দেশে ফিরেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে জাফর আর বিদেশে যেতে পারেনি। গত ২৯ জুলাই রাতে ওমান প্রবাসীকে পটিয়ার বাড়ি থেকে সাদা পোষাকধারী কিছু ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর কাছ থেকে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু প্রবাসীর পরিবার ওই টাকা দিতে পারেননি। এর দুই দিন পর প্রবাসীর পরিবারের কাছে চকরিয়া থানা পুলিশ ফোন করে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য সংবাদ দেন। প্রবাসীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন চকরিয়া থানা থেকে লাশ গ্রহণ করে দাফন করেন।
আহমদ নবী বলেন, তার ভাগ্নেকে গত ২৯ জুলাই রাতে তার পটিয়া কচুয়াই গ্রামের বাড়ি থেকে চকরিয়া থানার পুলিশ তুলে নিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে তাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রামের সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলায় কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি ও চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিববুর রহমানকে ২য় আসামি করে অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন