শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চকরিয়ার ওসিসহ দুই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

টাকা না পেয়ে প্রবাসীকে ক্রসফায়ার

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে যে দিন টেকনাফ থানার পুলিশ গুলি করে হত্যা করে, একই দিন প্রবাসীসহ দুই ব্যক্তিকে চকরিয়া থানার পুলিশ পটিয়া থেকে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রবাসীর মামা আহমদ নবী বাদী হয়ে চকরিয়া থানার ওসিসহ দুই পুলিশের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের কথা মৌজা গ্রামের মো. আবদুল আজিজের পুত্র মো. জাফর দীর্ঘদিন ওমান ছিলেন। করোনাভাইরাস শুরুর আগে ওমান থেকে জাফর দেশে ফিরেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে জাফর আর বিদেশে যেতে পারেনি। গত ২৯ জুলাই রাতে ওমান প্রবাসীকে পটিয়ার বাড়ি থেকে সাদা পোষাকধারী কিছু ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর কাছ থেকে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু প্রবাসীর পরিবার ওই টাকা দিতে পারেননি। এর দুই দিন পর প্রবাসীর পরিবারের কাছে চকরিয়া থানা পুলিশ ফোন করে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য সংবাদ দেন। প্রবাসীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন চকরিয়া থানা থেকে লাশ গ্রহণ করে দাফন করেন।

আহমদ নবী বলেন, তার ভাগ্নেকে গত ২৯ জুলাই রাতে তার পটিয়া কচুয়াই গ্রামের বাড়ি থেকে চকরিয়া থানার পুলিশ তুলে নিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে তাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রামের সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলায় কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি ও চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিববুর রহমানকে ২য় আসামি করে অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ১৮ আগস্ট, ২০২০, ৮:৪৮ এএম says : 0
এই খবরটাকে ফলাও করে প্রচার করার জন্যে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সবাইকে ধন্যবাদ। এভাবে এখন সংবাদ পত্রের পুলিশের বিরুদ্ধে করা মামলা ফালাও করে প্রচার করতে থাকে সারা বাংলাদেশের থানার ওসি সহ পুলিশ যত অকর্ম করেছে তাঁর জন্যে ভুক্তভুগিরা এখন আদলতে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস পাবে। সাথে সাথে এতদিন পুলিশ যেসব অপকর্ম করে আসছিল সেসব প্রকাশ পাবে। এসব পুলিশ করতে পেরেছিল কারন বর্তমানে পুলিশ এক ব্যাক্তির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তাঁকে সন্তুষ্ট করে পুলিশ জনগণের উপর অন্যায় অত্যাচার করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে। এভাবে পুলিশের কর্ম প্রকাশিত হলেই জনগণ পুলিশের বিপক্ষে অবস্থান নিবে এবং সেখান থেকে রেহাই পাবার জন্যে পুলিশ আর একব্যাক্তির হাতের নিয়ন্ত্রিত না হয়ে জাতীর জনকের সময় যেভাবে পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো সেইভাবে নিয়ন্ত্রণ করার আইন প্রণয়ন হবে ইনশ’আল্লাহ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন