শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পশু খাদ্য নিয়ে বিপাকে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গত কৃষকরা

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১০:০৪ এএম

কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে গেলেও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষেরা। দীর্ঘ দেড় মাস বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় চারন ভুমির গো-খাদ্য সম্পুর্ণরুপে নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকেরই নষ্ট হয়ে গেছে গবাদি পশুর সঞ্চিত খাবারও। এ অবস্থায় নিজেদের খাবারের পাশাপাশি তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন ও প্রধানতম সম্পদ গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। 

সরকারী হিসেবে এবারের বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পড়ে। এতে করে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারের অববাহিকার সাড়ে ৪ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। সরকারী হিসেবে এসব এলাকার ৬০ হাজার গরুসহ প্রায় লক্ষাধিক মহিষ, ভেড়া, ছাগল ও ২ লক্ষাধিক হাস-মুরগী বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। বন্যার এ সময়টাতে শুধু প্রাণি সম্পদের ক্ষতি হয় ৩০ লাখ টাকা। পানি নেমে গেলেও জেলার ৪ শতাধিক চরাঞ্চলের ১ হাজার ৪শ ৬৬ একর চারন ভুমিসহ বাড়িতে সঞ্চিত গবাদি পশুর খাবার সম্পুর্ণরুপে নষ্ট হয়ে যায়। 

এ অবস্থায় টানা বন্যার পরবর্তী এ সময়টাতে চরাঞ্চলের কর্মহীন মানুষজন নিজেরা খেয়ে না খেয়ে দিন পাড় করলেও তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন গবাদি পশু খাবার জোটাতে না পাড়ায় পড়েছেন মহা বিপাকে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের রলাকাটার চরের শমসের আলী মুন্সী জানান, ছোট বড় মিলে আমার ১২টি গরু রয়েছে। এবারের দীর্ঘ বন্যায় গরুর খাবারসহ সবকিছু পচে গেছে। সামান্য কিছু খর বাঁশের মাচার উপর রেখেছিলাম। তাও শেষ হয়ে গেছে। এখন এই গরুর খাবার জোটানো নিয়ে মহা দু:চিন্তায় পড়েছি।

একই ইউনিয়নের চর বড়–য়ায় মঈনুদ্দিন জানান, আমার ৩ টি গরু নিয়ে খুব কষ্টে পড়েছি। সরকারী ভাবে ফিড দেয়া হলেও আমি পাইনি। ধারদেনা করে বাজার থেকে ফিড কিনে এনে গরুকে খাওয়াচ্ছি।

উলিপুর উপজেলার সাহেবের আগলা ইউনিয়নের কালু মিয়া জানান, দীর্ঘ বন্যায় চরের সব ঘাসসহ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। নিজেদেরই খাবার নেই তার উপর গরুর খাবার জোটানোটা দু:সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। বাজার ছোট ছোট ১শ ঘরের আটির দাম ৯শ টাকা। এই গরু কিভাবে রক্ষা করবো জানা নেই।

চরবাসীরা জানান, চরাঞ্চলগুলোতে সরকারিভাবে গো-খাদ্য বিতরণ করা হলেও বেশিরভাগ গবাদি পশুর মালিকের ভাগ্যে জুটছে না তাহাও। কেউ কেউ ধার দেনা করে বাজার থেকে চরা দামে খাদ্য কোন রকমে বাঁচিয়ে রাখছেন তাদের গৃহপালিত পশু পাখিদের।

তবে বন্যা কবলিত এলাকায় গবাদি পশুর মালিকদের মাঝে গো-খাদ্য বিতরণসহ নানা প্রনোদনার মাধ্যমে সহায়তার কথা জানান জেলার অতিরিক্ত প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: মকবুল হোসেন। তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় ১ লাখ গবাদি পশু ও দুই লাখ হাস-মুরগী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আমরা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি এবং তা গো খাদ্য হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। এরপরও বন্যা পরবর্তী সময়টাতে এই গবাদি পশুর যাতে কোন ক্ষতি না হয় এজন্য সরকার থেকে প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। একমাসের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের মোবাইল একাউন্ডের মাধ্যমে এই প্রনোদনার টাকা দেয়া হবে।

এদিকে বন্যা পরবর্তী এ সময়টাতে চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গত মানুষজনের খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি তাদের গবাদি পশুর প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা নিয়ে দ্রুত এগিয়ে আসবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা জেলার বন্যা দুর্গত অসহায় মানুষদের।

 

cï Lv`¨ wb‡q wecv‡K KzwoMÖv‡gi Piv‡ji eb¨v `yM©Z K…lKiv

 

kwdKzj Bmjvg †eey,KzwoMÖvg : 18.08.2020

KzwoMÖv‡g eb¨vi cvwb †b‡g †M‡jI Mevw` cïi Lv`¨ msKU wb‡q Pig `y‡f©v‡M c‡o‡Qb Piv‡ji gvby‡liv| `xN© †`o gvm eb¨vi cvwb‡Z Zwj‡q _vKvq Pvib fzwgi †Mv-Lv`¨ m¤úyY©iæ‡c bó n‡q †M‡Q| A‡b‡KiB bó n‡q †M‡Q Mevw` cïi mwÂZ LveviI| G Ae¯’vq wb‡R‡`i Lvev‡ii cvkvcvwk Zv‡`i †eu‡P _vKvi Aej¤^b I cÖavbZg m¤ú` Mevw` cïi Lv`¨ msKU wb‡q `ywðšÍvq c‡o‡Qb Zviv|

miKvix wn‡m‡e Gev‡ii eb¨vq KzwoMÖv‡gi 9 Dc‡Rjvi 57wU BDwbqb cøvweZ n‡q c‡o| G‡Z K‡i †Rjvi Dci w`‡q cÖevwnZ eªþcyÎ, aijv, wZ¯Ív I `yaKzgv‡ii AeevwnKvi mv‡o 4 kZvwaK Pi I Øxc P‡ii cÖvq 4 jÿvwaK gvbyl eb¨v KewjZ n‡q c‡o| miKvix wn‡m‡e Gme GjvKvi 60 nvRvi Miæmn cÖvq jÿvwaK gwnl, †fov, QvMj I 2 jÿvwaK nvm-gyiMx eb¨v KewjZ n‡q c‡o| eb¨vi G mgqUv‡Z ïay cÖvwY m¤ú‡`i ÿwZ nq 30 jvL UvKv| cvwb †b‡g †M‡jI †Rjvi 4 kZvwaK Piv‡ji 1 nvRvi 4k 66 GKi Pvib fzwgmn evwo‡Z mwÂZ Mevw` cïi Lvevi m¤úyY©iæ‡c bó n‡q hvq|

G Ae¯’vqUvbv eb¨vi cieZx© G mgqUv‡Z Piv‡ji Kg©nxb gvbylRb wb‡Riv †L‡q bv †L‡q w`b cvo Ki‡jI Zv‡`i †eu‡P _vKvi GKgvÎ Aej¤^b Mevw` cï Lvevi †RvUv‡Z bv cvovq c‡o‡Qb gnv wecv‡K|

KzwoMÖvg m`i Dc‡Rjvi hvÎvcyi BDwbq‡bi ijvKvUvi P‡ii kg‡mi Avjx gyÝx Rvbvb, †QvU eo wg‡j Avgvi 12wU Miæ i‡q‡Q| Gev‡ii `xN© eb¨vq Miæi Lvevimn mewKQz c‡P †M‡Q| mvgvb¨ wKQz Li evu‡ki gvPvi Dci †i‡LwQjvg| ZvI †kl n‡q †M‡Q| GLb GB Miæi Lvevi †RvUv‡bv wb‡q gnv `y:wPšÍvq c‡owQ|

GKB BDwbq‡bi Pi eo–qvq gCbywÏb Rvbvb, Avgvi 3 wU Miæ wb‡q Lye K‡ó c‡owQ| miKvix fv‡e wdW †`qv n‡jI Avwg cvBwb| avi‡`bv K‡i evRvi †_‡K wdW wK‡b G‡b Miæ‡K LvIqvw”Q|

Dwjcyi Dc‡Rjvi mv‡n‡ei AvMjv BDwbq‡bi Kvjy wgqv Rvbvb, `xN© eb¨vq P‡ii me Nvmmn dmj bó n‡q †M‡Q| wb‡R‡`iB Lvevi †bB Zvi Dci Miæi Lvevi †RvUv‡bvUv `y:mva¨ e¨vcvi n‡q `vwo‡q‡Q| evRvi †QvU †QvU 1k N‡ii AvwUi `vg 9k UvKv| GB Miæ wKfv‡e iÿv Ki‡ev Rvbv †bB|

Pievmxiv Rvbvb, PivÂj¸‡jv‡Z miKvwifv‡e †Mv-Lv`¨ weZiY Kiv n‡jI †ewkifvM Mevw` cïi gvwj‡Ki fv‡M¨ RyU‡Q bv ZvnvI| †KD †KD avi †`bv K‡i evRvi †_‡K Piv `v‡g Lv`¨ ‡Kvb iK‡g evuwP‡q ivL‡Qb Zv‡`i M„ncvwjZ cï cvwL‡`i|

Z‡e eb¨v KewjZ GjvKvq Mevw` cïi gvwjK‡`i gv‡S †Mv-Lv`¨ weZiYmn bvbv cÖ‡bv`bvi gva¨‡g mnvqZvi K_v Rvbvb †Rjvi AwZwi³ cÖvwY m¤ú` Kg©KZ©v Wv: †gv: gKeyj †nv‡mb| wZwb e‡jb, KzwoMÖvg †Rjvi 9 Dc‡Rjvq cÖvq 1 jvL Mevw` cï I `yB jvL nvm-gyiMx eb¨vq ÿwZMÖ¯Í n‡q c‡o‡Q| Avgiv †Rjv cÖkvm‡bi gva¨‡g `y‡h©vM gš¿Yvjq †_‡K 12 jÿ UvKv eivÏ †c‡qwQ Ges Zv †Mv Lv`¨ wn‡m‡e weZiY Kiv n‡q‡Q| GiciI eb¨v cieZx© mgqUv‡Z GB Mevw` cïi hv‡Z †Kvb ÿwZ bv nq GRb¨ miKvi †_‡K cÖ‡bv`bv c¨v‡KR †NvlYv Kiv n‡q‡Q| GKgv‡mi g‡a¨B ÿwZMÖ¯’ K…lK‡`i Z_¨ msMÖn K‡i Zv‡`i †gvevBj GKvD‡Ûi gva¨‡g GB cÖ‡bv`bvi UvKv †`qv n‡e|

Gw`‡K eb¨v cieZx© G mgqUv‡Z Piv‡ji eb¨v `yM©Z gvbylR‡bi Lv`¨ mnvqZvi cvkvcvwk Zv‡`i Mevw` cïi cÖ‡qvRbxq Lv`¨ mnvqZv wb‡q `ªæZ GwM‡q Avm‡e miKvi GgbUvB cÖZ¨vkv †Rjvi eb¨v `yM©Z Amnvq gvbyl‡`i|

 

Qwe- B‡gB‡j|

 

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন