চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে প্রলোভন দেখিয়ে পাচারের জন্য দু'কিশোরীকে অপহরণের দুদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সাথে জড়িত নারীকে চাপ প্রয়োগ করলে ঢাকা থেকে তারা লোকজন কিশোরীদের উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। বর্তমানে দু'কিশোরী চাঁদপুর ২৫০শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অপহৃত কিশোরীর পরিবারের লোকজন জানায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার নয়ারহাট ভাটিয়ালপুর মিজি বাড়ির এক কিশোরী (১৩)ও তার চাচাতো বোন (১১)কে রোববার বিকেলে তাদের মা'র অনুপস্থিতিতে পাশের বাড়ির রুবি বেগম কৌশলে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায়। মেয়েকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোজাখুজি শুরু করেন। এ সময় জানতে পারেন পাশের বাড়ির অপর এক কিশোরীকেও পাওয়া যাচ্ছেনা। তখন বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয় রুবি বেগমের উপর। ওই মহিলা ছাড়া সন্ধ্যায় আর কেউ তাদের বাড়িতে আসেনি।
পরদিন এক কিশোরীর মা ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মোঃ কাজী জাকির রুবি বেগমকে চাপ প্রয়োগ করলে তার পক্ষের লোকজন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে সোনিয়া ও সেলিনাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ির পাশের একটি গুদারাঘাটে পৌঁছে দেয়। অপহৃত দু'কিশোরি ধর্ষিত হয়েছে সন্দেহে তাদের পরিবারের লোকজন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সোনিয়া ও সেলিনার পরিবার জানায়, রুবি বেগম নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য। আমাদের মেয়েদের কৌশলে সে পাচারের জন্য বাড়ি থেকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাসায় আটকে রেখে তাদের উপর নির্যাতন করা হয়।
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, দুই কিশোরীর মেডিকেল চেকআপ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে তাদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে কিনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন