টাঙ্গাইলের সখিপুরে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়ে যুব সমাজের অবক্ষয় ও এলাকার ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ ওঠেছে ফালু দম্পতির বিরুদ্ধে। জানা যায়, আলমগীর হোসেন ফালু ও তাঁর স্ত্রী শারমিন আক্তার পাশ^বর্তী বাসাইল উপজেলার আইসড়া গ্রাম থেকে সখিপুরের পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কলেজমোড় এলাকায় বাড়ি বানিয়ে প্রায় পাঁচ বছর যাবত স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে। জানা যায় ফালু কিছুদিন আগেও ভ্যানগাড়ি চালিয়ে ও গরু বিক্রি করে সংসার চালাতো, এরই মধ্যে ফালুর স্ত্রী শারমিন নিজ বাড়ির ভেতরে গড়ে তুলেছে একটি বিউটি পার্লার, এই বিউটি পার্লারের আড়ালে স্বামী স্ত্রী মিলে মদ, জুয়া ও মাদক ও দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ সমাজবাসীর। সমাজের কেউ এই অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করলে নারী নির্যাতনের মামলার ভয় দেখায় ফালু ও শারমিন। এর আগেও সমাজের একাধিক ব্যক্তিকে নারী নির্যাতনের মামলায় ফাসিয়ে ছিলো বলে জানায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তোরাব আলী।
ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, প্রায় সময়ই ওই বাড়িতে বিভিন্ন জায়গা থেকে অচেনা-অজানা যুবক-যুবতীদের আসতে দেখা যায়। আলমগীর হোসেন ফালুর শ্যালিকা শ্যামলী আক্তার(২৮) প্রায় সময় এই বাড়িতে অচেনা অজানা তরুণÑতরণীদের নিয়ে আসেন এবং নানা অসামাজিক কার্যকলাপে সাহায্য করেন। শ্যামলী আক্তার একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি বলে জানা যায় এবং বেশ কিছুদিন আগেও গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর কনডমের ভেতরে ৫শত ইয়াবা ট্যাবলেট গোপানাঙ্গে রাখা অবস্থায় কক্সবাজার এয়ারপোর্টে আটক হয়। ইয়াবাসহ শ্যামলীর ওই আটকের খবর অনলাইন সংবাদ মাধ্যম জাগোনিউজসহ আরো কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। জাগো নিউজের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কনডমে ভরে বিশেষ অঙ্গে লুকিয়ে ইয়াবা পাচার করতে গিয়েও ধরা পড়েছেন শ্যামলী বেগম নামে এক বিমানযাত্রী। ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ৩টার দিকে নিরাপত্তা তল্লাশিকালে ইয়াবাসহ তাকে আটক করে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয় শ্যামলীর বিরুদ্ধে। শ্যামলী বেগম পাশ^বর্তী উপজেলা মির্জাপুর গোড়াই এলাকার আজাহার মিয়ার স্ত্রী।
সমাজের মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার ও নানা অসামাজিক কর্মকান্ডের কারনে সমাজের কোনো মানুষ তাঁদের সাথে মিশেনা বলেও জানায় সমাজের একাধিক ব্যক্তি। এমতাবস্থায় সমাজবাসী অতিষ্ট হয়ে গত ১৪ আগস্ট আলমগীর হোসেন ফালু (৪৫), তাঁর স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩৫) ও শ্যালিকা শ্যামলী আক্তার (৩০) এর নামে সমাজবাসীর পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা মো. তোরাব আলী বাদী হয়ে ৩০৬জন দস্তখত সম্বলিত সখিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বাদী মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলী বলেন, নিজ বউয়ের বিয়ে দেওয়াসহ এমন কোন হীন কাজ নেই যা আলমগীর হোসেন ফালু করেনি। কিছু যুবতী মেয়েকে তার সঙ্গী করে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা দেহব্যবসা ও নানা অসামাজিক কর্মকাÐ।
ফালু দম্পতির মাদক ব্যবসা নানা অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে এলাকার তরুণ ও যুব সমাজ লিপ্ত হচ্ছে অপকর্মে ফলে সমাজে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে এমনটাই মনে করেন সুশীল সমাজ। এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই বন্ধ করা হোক ফালু দম্পতির অপকর্ম পাশাপাশি তার তাঁকে আইনের আওতায় আনার দাবি এলাকা বাসীর। অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন ফালু তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ঈদুল আযহার সামাজিক মাংস নিয়ে তর্কাতর্কির হয়েছে.তাছাড়া অন্য কোন ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সখিপুর থানার এসআই ওমর ফারুক বলেন, পৌর ৮নং ওয়ার্ড মুজিব কলেজ মোড় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন