মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

ফিলিস্তিন স্বাধীন হওয়ার পরই কেবল ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি : সউদি আরব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২০, ৪:৩০ পিএম

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করবে না সউদি আরব, যথক্ষণ না ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করছে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রটি পুরোপুরি একটি স্বাধীন দেশে পরিণত না হচ্ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক না করার নীতি বজায় রেখেছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে হঠাৎ করে শান্তিচুক্তির পর বুধবারই (১৯ আগস্ট) প্রথম এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সউদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান এ কথা বলেছেন।
দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে সউদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাবে না সৌদি আরব, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে। তৃতীয় কারো সঙ্গে চুক্তি করে ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়, ইসরায়েলকে সমঝোতায় আসতে হবে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে। জার্মানিতে সফরে থাকা সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বার্লিনে আয়োজিত এক বৈঠকে এসব মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আরব পিস ইনিশিয়েটিভের ভিত্তিতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে সৌদি আরব। আমাদের জন্য এই একটি পথই খোলা আছে।’ উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ২০১২ সালে সৌদি আরব ‘আরব পিস ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে। সেই প্রস্তাবের মৌলিক দুটি বিষয় হলো- রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং ইসরায়েল কর্তৃক দখলকৃত ১৯৬৭ সালের আগের ভূখণ্ড ফিলিস্তিনকে ফিরিয়ে দেওয়া।
এই দুটি শর্ত মানার ওপরই আরব বিশ্বের শান্তি নির্ভর করে বলে ওই প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়। সৌদি আরব নতুন করে শর্তগুলো মনে করিয়ে দিয়ে বলেছে, এই দুটি বিষয় বাস্তবায়ন হলে শুধু সৌদি আরব নয়, আরব বিশ্বের সব দেশের সঙ্গেই ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সম্ভব।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস এর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইসরালের পশ্চিম তীরে স্থাপনা নির্মাণ, এলাকা আত্মীকরণসহ তাদের আচরণের সমালোচনা করেন।
ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করার জন্য ইসরায়েলের যে কোনও ধরনের একতরফা ব্যবস্থা গ্রহণে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে হেয় করার শামিল বলে মনে করে সৌদি আরব।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সুসম্পর্ক থাকলেও গত এপ্রিলে মার্কিন একটি ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ইসরায়েলিরা শুধুমাত্র তাদের নিজ ভূখণ্ডেই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার রাখেন। সূত্র: রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
AK aman ২০ আগস্ট, ২০২০, ৪:৪৬ পিএম says : 0
good one
Total Reply(0)
saif ২০ আগস্ট, ২০২০, ৫:৪৯ পিএম says : 0
সবছেয়ে বড় সৌদির ভাওতাবাজী, তলে তলে এরা সবাই ইস্রাঈলের পাচাটে। সৌদি চাইলে ফেলিস্থিন আরো আগেই স্বাধীন হত।
Total Reply(0)
Shameem Bhuiyan ২০ আগস্ট, ২০২০, ৮:৫০ পিএম says : 0
সৌদি সবাই কে তার মত বোকা ভাবে। সৌদি তাদের ভুমি ও আকাশ অনেক আগেই ইসরাইলের জন্য উন্মুক্ত করেছে ইরান কে ধ্ব়ংস করতে। সময় এসেছে সৌদির আসল চেহারা দেখানো।
Total Reply(0)
Mohammad Saidul Islam ২০ আগস্ট, ২০২০, ৮:৫১ পিএম says : 1
যিনি কথাটা বলেছেন তাকে আবার হত্যা করা হয় কি না দেখেন, এর আগে যতজন কথা বলেছেন সবাইকে বন্দি করেছেন বর্তমান বাদশাহ মোহাম্মদ বিন সালমান
Total Reply(0)
Md Lutfur Rahman ২০ আগস্ট, ২০২০, ৮:৫১ পিএম says : 0
বিশ্বে উনাদের কদর বাড়াতে নতুন ডায়লগ।নস্ট হওয়া ভাবমুর্তি এতো সহজে ভালো হয় কেমনে।
Total Reply(0)
Msb Saifuddin ২০ আগস্ট, ২০২০, ৮:৫২ পিএম says : 0
গোপনে ইজরাইলের সাথে সব সম্পর্কই বজায় রাখছে। সময় সুযোগ বুজে একদিন ঠিকই প্রকাশ করবে।
Total Reply(0)
Hasan Rafi ২০ আগস্ট, ২০২০, ৮:৫২ পিএম says : 0
নবী (সাঃ) বলেছিলেন তোমরা গোঁফ ছেঁটে দাঁড়ি রাখো। এই বান্দর টা নবী (সাঃ) আদেশের উল্টা করে বসে আছে। নবীর কথাই যারা মানে না। তাদের আর কিসের বিশ্বাস???
Total Reply(0)
Rafiqul Islam ২০ আগস্ট, ২০২০, ৮:৫২ পিএম says : 0
এক মাত্র সৌদি আরবের কারনে সারা বিশ্বের মুসলিম নির্যাতিত, এই সৌদি আরব যদি বেশি না কয়েকটি দেশ হাত রাখতো তাহলে কারো বাপের সাধ্য ছিলো না মুসলমানদের বিরুদ্ধে কথা বলা,যেমন তুরস্ক ইরান কাতার, আর শুধু অস্ত্র কিনতে হবে চিন আর রাশিয়ার কাছ থেকে, তাহলে আমেরিকা ইজরায়েল তিরের মত সোজা হয়ে যেত। তা না করে সৌদি আজ কি করছে??
Total Reply(1)
ria sign ২০ আগস্ট, ২০২০, ১০:২৬ পিএম says : 0
Very funny very funny,,,,,,,,,,,,,
Nannu chowhan ২১ আগস্ট, ২০২০, ৬:১৩ এএম says : 0
Ami khuboi shosti pelam o ashshosto holam saudi arober eai ghoshonai, Allah amader muslim jatike islami vatritto bodhe eakotaboddo korun,Ameen
Total Reply(0)
habib ২১ আগস্ট, ২০২০, ১০:১৬ এএম says : 0
its very unfortunate that OIC members and GULF state fail to protect muslim around the world..
Total Reply(0)
Alimuzzaman Adil ২১ আগস্ট, ২০২০, ৯:০২ পিএম says : 0
মূলত এটা সোদি আরবের একটি রাজনৈতিক কৌশল। যেহেতু মুসলিম বিশ্বের কিছুটা সমর্থন থাকা দরকার
Total Reply(0)
Many Ahmed ২২ আগস্ট, ২০২০, ১২:৩১ এএম says : 0
ভাই সৌদি আরবকে গালিগালাজ করবেন না।দেশটা সবচেয়ে পবিত্র । শাসকদের দোষের জন্য দেশকে গালিগালাজ করতে পারেন না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন