তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন তা অতুলনীয় । করোনা সংকট দেখা দেয়ার পর থেকে গত সাড়ে পাঁচ মাসে একদিনও বিশ্রাম নেননি তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রণোদনার চেক হস্তান্তর কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। আলোচনা পর্ব শেষে সিলেট বিভাগের শতাধিক সাংবাদিকের মধ্যে প্রণোদনার চেক নিজ হাতে বিতরণ করেন তথ্যমন্ত্রী।
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এই স্তম্ভ সাংবাদিকরা-ই তৈরি করেন। এই করোনাকালেও সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। দলমত নির্বিশেষে যারা সংকটে আছেন তাদের প্রণোদনা দিচ্ছি আমরা। এমনকি ভারত-পাকিস্তানেও সাংবাদিকদের এভাবে প্রণোদনা দেয়া হয়নি ।
করোনাকালে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া করোনা সংকটকালে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে গণমাধ্যম। তিনি বলেন, সমালোচনা থাকবে, না হলে বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। সরকার মনে করে, পথচলাকালে শাণিত করে সমালোচনা। কিন্তু বস্তুনিষ্টতা ছাড়া অন্ধের মতো একপেশে সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নয়।
বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে যারা স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তারা ঘটিয়েছিল ১৫ আগস্ট। আজকেও শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে ষড়যন্ত্র করছে তারাও। ওরা দুষ্টচক্র, দেশের বিরুদ্ধে, অর্থনীতির বিরুদ্ধে, অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে আরও সোচ্চার হতে হবে সাংবাদিকদের।
তথ্য অফিসের বিভাগীয় উপ-পরিচালক জুলিয়া জেসমিন মিলির সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, সিলেট জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন