অমাবস্যার জো ও লঘু চাপের প্রভাবে নদী- সাগরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পটুয়াখালী পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকা সহ উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল এলাকা ব্যাপক ভাবে প্লাবিত হয়েছে।পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে কমপক্ষে ১২ টি গ্রামের ৬-৭ হাজার মানুষ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো: ওয়ালীউজ্জামান জানান,আজ দুপুরে বিপদ সীমার ৬৪ সে: মি: উপর দিয়েপানি প্রবাহিতহয় ,যা ঘূর্র্নিঝড় আম্পানের চেয়েও বেশী। এ দিকে এ পানির এ অস্বাভাবিক এ বৃদ্ধির কারনে শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে দপূরে শহরে পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে শহরে পুরান বাজার, চরপাড়া, কলেজরোড,সদর রোড, নাবাব পাড়া, এসডিও রোড সহ শহরের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়।
জেলার কলাপাড়ার পায়রা বন্দর সংলগ্ন লালুয়া ইউনিয়নের পশরবুনিয়া থেকে নাওয়াপাড়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ হীন এলাকায় পানি ঢুকে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়াও নতুন করে মনজু পাড়া থেকে চান্দুপাড়া পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় গড়িয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করায় ঐ এলাকার জনগন আতংকের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শওকত হোসেন বিশ্বাস।
এদিকে বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী রাঙ্গাবালীর বিচ্ছিন্ন চর চর কাশেম, কলাগাছিয়ার চর, কানকুনির চর,মাদারবুনিয়ার চর ,মাঝেরচর, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চর আন্ডা ,চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বিবির হাওলা ,চরগঙ্গা, মধ্য চালিতাবুনিয়া, উত্তর চালিতাবুনিয়া,ও লতার চরপ্লাবিত হয়। ঐ সব এলাকার কমপক্ষে ৫ শতাধিক মাছের ঘের তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চর কাশেমের মাছের ঘেরের মালেক লুৎফর রহমান বাবুল।
এদিকে জেলা শহরের বাইরে দুমকি উপজেলার লেবুখালী,পাংগাশিয়া এবং মুরাদিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম, সহ জেলায় কমপক্ষে ৫০-৬০ টি গ্রাম টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন