বেলারুশের বিরোধী দলিয় নেত্রী শ্বেতলানা তিখানোভস্কায়া প্রতিবেশী লিথুয়ানিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। ক্ষমতা প্রত্যাপর্ণের জন্য ‘সমন্বয়ক পরিষদ’ গঠন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এদিকে বিরোধী দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সরকার ফৌজদারী মামলা রুজু করেছে। দেশটির রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী বলেছেন, বিরোধী দল ক্ষমতা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। -বিবিসি
প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর দায়ের করা এই অভিযোগপত্রে বলা হয় ‘বিরোধী দল সক্রিয়ভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে কাজ করছে এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করেছে। এরআগে লুকাশেঙ্কো বিক্ষোভ দমনে পুলিশকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন। ১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশকে শাসন করা লুকাশেঙ্কো গত ৯ আগস্টের নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ক্ষমতায় এসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজধানী মিনস্কে সাদা পোশাক, ফুল ও পতাকা নিয়ে দশম দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন লাখো জনতা। বিক্ষোভের প্রথম চার দিনেই ৭ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। শ্বেতলানা বিদেশী সরকারকে বেলারুশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বেলারুশের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এই সমন্বয়ক পরিষদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগপত্রে বলেন, ‘এই ধরণের পরিষদ আইনসম্মত নয়, এটি অসাংবিধানিক।নির্বাচনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে প্রতিবেশি দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ইউরোপিয় ইউনিয়ন লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞারোপ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিরোধী নেত্রী শ্বেতলানা ইইউ নেতাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল ভিডিও বৈঠকে বেলারুশে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া এবং নতুন করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সহায়তা করার আহ্বান জানান। যদিও লুকাশেঙ্কো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতোমধ্যে নতুন মন্ত্রীপরিষদ অনুমোদন করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন