কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ধর্ষকের সাথে ধর্ষিতার বিয়ে হয়েছে। ১০ লাখ টাকা দেনমোহরের মধ্যে ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বাকি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার ফতেখাঁ গ্রামে চাঞ্চল্যকর মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি পার্শ্ববর্তী উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কর্পূরা গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র সেফারুল ইসলামের সাথে ধর্ষিতা ওই মেয়েটির বিয়ে হয়। উভয়পক্ষের পরিবারের উপস্থিতিতে ১০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে হলেও নগদ ১৫শ’ টাকা ছাড়া দেনমোহরের পুরো টাকাই বাকি রাখা হয়। ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) সাইফুল ইসলাম জানান, উভয়পক্ষের অভিভাবকের উপস্থিতিতে বিবাহ রেজিস্ট্রি করেছি এবং রাতেই মেয়েটিকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে গেছে। রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার বলেন, বিয়ের কথা শুনেছি।
উল্লেখ্য, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের ফতেখাঁ কারামতিয়া দাখিল মাদরাসার এক দাখিল পরীক্ষার্থীর সাথে পার্শ্ববর্তী উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কর্পূরা গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র সেফারুল ইসলাম (২৫) এর পূর্ব পরিচয় ছিল। সেই সূত্র ধরে সেফারুল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন। এ অভিযোগে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে গত বুধবার রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যা তদন্তাধীন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন