কৃষ্ণসাগরের উপক‚লে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল খনির সন্ধান পেয়েছেন তুরস্ক। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান এ ঘোষণা দিয়েছেন। প্রাকৃতিক গ্যাসের খনির সন্ধান পাওয়ার পর তুরস্কের জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে বিদেশ-নির্ভরতা অনেকটাই কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে এরদোগান ভালো খবর জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এমন ভালো খবর আসছে যার ফলে তুরস্কের জন্য নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হবে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, কৃষ্ণসাগর উপক‚লবর্তী এলাকায় যে গ্যাসের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে তাতে ৩২০ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাসের মজুদ রয়েছে। তুরস্কের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ ফাতিহর মাধ্যমে এ খনির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান। এরদোগান বলেন, “ভ‚মধ্যসাগর এবং কৃষ্ণসাগরের গভীরে আমরা নয়টি এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চালিয়েছি এবং এ কাজে ফাতিহ ও ইয়াভুজ জাহাজ ব্যবহার করা হয়েছে। জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত তুরস্কের এই অনুসন্ধান কাজ থামাবো না।” এরদোগান আশা প্রকাশ করেন ২০২৩ সালের মধ্যে কৃষ্ণসাগরের খনির গ্যাস জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারবে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তা যদি উত্তোলনযোগ্য হয়ে ওঠে তাহলে তুরস্ক যে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করে থাকে তা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবে আঙ্কারা। গত বছর তুরস্ক চার হাজার একশ কোটি ডলারের জ্বালানি আমদানি করেছে। খবরে বলা হয়, রাজধানী আঙ্কারায় বুধবার একটি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় উপরোক্ত ঘোষণা দেন এরদোগান। তিনি সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা দেন- প‚র্ব ভ‚মধ্যসাগর এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমের অধিকার থেকে তুরস্ককে কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না। এরদোগান বলেন, ‘তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ইস্যুতে আমরা শতভাগ সঠিক অবস্থানে আছি। যদি আমরা নৌদস্যুদের কাছে আত্মসমর্পণ করি তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা মুখ দেখাতে পারব না। আমরা এমন কোনো দেশ আমাদের শিশুদের কাছে দিতে পারি না যেখানে তারা নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে পারবে না, যেখানে তাদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকবে।’ আনাদোলু, আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন