বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

সেভিয়ার ছয়ে ছয়

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

ইউরোপা লিগের ফাইনালে কী অবাক করা অদলবদল। ম্যাচের শুরুতে যিনি খলনায়ক, শেষ বেলায় তিনিই নায়ক। আর যিনি ছিলেন শুরুর নায়ক তিনিই শেষ বেলায় খলনায়ক। খেলোয়াড়দের মতো ভাগ্য বদল হলো দুই দলেরও। পিছিয়ে পড়েও ইন্টার মিলানের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে দারুণ জয় পেল সেভিয়া। গতপরশু রাতে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতার ফাইনালে ৩-২ গোলে জিতেছে হুলেন লোপেতেগির দল। ছয়বার ফাইনালে উঠে ষষ্ঠ শিরোপা জেতা দলটির হয়ে জোড়া গোল করেন লুক ডি ইয়ং, দিয়েগো কার্লোস একটি। ইন্টারের হয়ে গোল দুটি করেন রোমেলু লুকাকু ও দিয়েগো গদিন।

ইতালিয়ান দলটির দুটি গোলের পেছনেই ছিল কার্লোসের দায়। তার দুটি ফাউল ছিল ইন্টারের গোলের উৎস। শেষে ব্যবধান গড়ে দিয়ে কার্লোস যেন পুষিয়ে দিলেন সব। আন্তোনিও কন্তের দলের দুটি গোলেই জড়িয়ে আছেন লুকাকু। পরে তার পায়ে লেগেই কার্লোসের বাইসাইকেল কিক জড়ায় জালে।
বুন্দেসলিগার দল কোলনের মাঠে উত্তেজনা ছড়ায় শুরু থেকে। পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান। সফল স্পট কিকে ইউরোপা লিগে টানা একাদশ ম্যাচে জালের দেখা পান লুকাকু। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল ডি-বক্সের মধ্যে লুকাকুকে সেভিয়ার দিয়াগো কার্লোস ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে সমতায় ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি সেভিয়া। সাত মিনিট পর ডান প্রান্ত থেকে হেসুস নাভাসের ক্রস থেকে নিচু হয়ে নিখুঁত এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন লুক ডি ইয়ং।
৩৩তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। ফ্রিকিক থেকে এভার বানেগার নেওয়া ক্রসে লাফিয়ে উঠে অসাধারণ এক হেডে বল জালে জড়ান ডি ইয়ং। ইন্টারও খুব বেশি সময় পিছিয়ে থাকেনি। তিন মিনিট পর প্রায় একই ঢঙয়ে সমতায় ফেরে তারা। ফ্রিকিক থেকে মার্সেলো ব্রজোভিচের নেওয়া ক্রসে লাফিয়ে উঠে বল জালে জড়ান দিয়াগো গডিন।
এরপরই শুরু হয় দু’দলের টানা-হেঁচড়া। ৬৫তম মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন লুকাকু। নিজেদের অর্ধ থেকে নিকোলো বারেয়ার বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে গোলরক্ষক বরাবর শট নিলে এগিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ হারায় দলটি। ৭৭তম মিনিটে আরও একটি সেটপিস থেকে এগিয়ে যায় সেভিয়া। যদিও গোলটি হয় আত্মঘাতী। বানেগার শট ডিফেন্ডাররা ঠিকভাবে ফেরাতে না পারলে ডি-বক্সেই দারুণ এক ব্যাকভলি করেন কার্লোস। যদিও তা লক্ষ্যে ছিল না। বল ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে ঢুকিয়ে দেন লুকাকু। ৮৩তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো ইন্টার। গোলমুখের জটলায় বদলী খেলোয়াড় আলেক্সিস সানচেজের শট একেবারে গোলমুখ থেকে কোনোমতে ঠেকান হুলেস কুন্দে।
ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন আরেক বদলী খেলোয়াড় কান্দেরা। কিন্তু ঠিকভাবে শট নিতে না পারলে সহজেই তা ঠেকিয়ে দেন সেভিয়া গোলরক্ষক বোনো। এরপরও গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ইন্টার। তবে লাভ হয়নি। গোলের দেখা মিলেনি। ফলে আরও একটি শিরোপাশ‚ন্য বছর পার করতে হয় দলটিকে।
১০ বছর আগে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছিল ইন্টার। এরপর থেকে আরও কোনো ইউরোপিয়ান শিরোপা তো দূরের কথা ঘরোয়া শিরোপাও জোটেনি দলটির। লম্বা সময় পর এদিন ইউরোপা লিগের শিরোপার প্রত্যাশা করছিল দলটি। কিন্তু তাদের অপেক্ষা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন